মুর্শিদাবাদ : কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব রাখার কথা সরাসরিই স্বীকার করে নিয়েছে তৃণমূল। কোনও অবস্থাতেই কংগ্রেসকে বিরোধীদের ‘বিগ বস’ বলে মানতে নারাজ ঘাসফুল শিবির। শুক্রবার বৈঠকের পর দলের এই অবস্থানের কথা জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্য়োপাধ্যায়। তবে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর দাবি, ‘তৃণমূলকে বাঁচতে হবে কংগ্রেসের পা ধরেই।’ তাঁর দাবি, আসলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সন্তুষ্ট করতে কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখছে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের দল। এই প্রসঙ্গে বিজেপি-তৃণমূলের পুরনো সম্পর্কের কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অধীর বলেন, ‘তৃণমূলের কাছে দুটো রাস্তা আছে। হয় কংগ্রেসের পা ধরে বাঁচতে হবে, নাহলে মোদীর কাছে আত্মসমর্পণ করতে হবে।’ তাঁর মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিরোধী জোট সম্ভব নয়। কংগ্রেসকে নিয়ে যে বিরোধী জোট তৈরি হচ্ছে তাতে তৃণমূলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
রাজ্যের শাসক দলকে আক্রমণ করে সাংসদ অধীর বলেন, ‘তৃণমূল মোদীর কাছে দাসখত লিখিয়ে দিয়েছে। বিরোধী জোটে গেলে সিবিআই-ইডির তদন্ত আরও বাড়বে। সেই কারণেই কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে না তৃণমূল।’
শুক্রবার কালীঘাটে তৃণমূল নেতৃত্বকে নিয়ে মমতা যে বৈঠকে বসেন, সেখানে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে দলের অবস্থান নিয়েও কথা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়েছেন, তৃণমূলের দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিরোধী দল হিসেবে কাজ করবে। কংগ্রেসের ডাকা বৈঠকে গিয়ে নাকি তিনি নিজেই সে কথা জানিয়ে দিয়ে এসেছেন। রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা মুখোপাধ্য়ায় এই প্রসঙ্গে বলেছেন, আমরা একলা চলার ক্ষমতা রাখি। তৃণমূলের দাবি, কেন্দ্রের মোদীর বিরোধিতা করলেও রাজ্যে বিজেপির সঙ্গেই হাত মিলিয়েছে কংগ্রেস। তাই কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব রাখার শ্রেয় বলে মনে করছেন তাঁরা।