মুর্শিদাবাদ: আবারও কংগ্রেস নেতা (Congress Leader) অধীর চৌধুরির (Adhir Chowdhury) নিশানায় শাসকদল তৃণমূল। নির্বাচন নিয়ে ক্ষুব্ধ অধির বলেন, “তৃণমূল লুঠের সংস্কৃতি শুরু করেছে।”
কিছুদিন আগেই কলকাতা পুরসভার ভোট হয়ে গিয়েছে। সেখানে ২টি আসন পেয়েছে কংগ্রেস। এখনও জেলাগুলিতে বাকি রয়েছে পুর নির্বাচন। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারী ১০৯টি পুর সভায় ভোট। তারমধ্যে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ, জিয়াগঞ্জ, আজিমগঞ্জ, কান্দি, জঙ্গিপুর, ধুলিয়ান, বেলডাঙা ভোট হবে। সেই কারণে আগাম প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে সব রাজনৈতিক দল।
কলকাতার পুরো নির্বাচন নিয়ে বারবার বিরোধীদের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে শাসক দলকে। একাধিকবার ভোট লুঠের অভিযোগ করেছে তারা। আজ সাংবাদিক বৈঠকে অধির চৌধুরি বলেন, “তৃণমূলের হামার্দ বাহিনী লুঠের রাজনীতি শুরু করেছে। এই জেলার ডোমকল দিয়ে শুরু হয়েছে ভোট লুঠ। পঞ্চায়েতের সময়ও ব্যাপক ভোট লুঠ হয়েছে। কেউ ভোট দিতে পারছে না। এর মধ্য়ে কোনও বাহাদুরি নেই। আপনার হাতে পুলিশ আপনি বাহাদুরি করতেই পারেন। আজকে আমার হাতে পুলিশ থাকলে আমিও তৃণমূলকে বলতাম তোমরা জিততে পারবে না। তবে আমরা লড়াই করব। আমরা প্রতিরোধ করব।”
এরপর কংগ্রেস নেতা যোগ করে বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একদিনে বাংলা দখল করেননি। তিনি জেলা পরিষদ দখল করেছিলেন, পুরসভা দখল করেছিলেন সেই সময় তার থেকে সমস্ত কিছু কেড়ে নিলেই হত। তাহলে দেশে আর বিরোধী বলে কিছু থাকবে না। এখন যদি প্রধানমন্ত্রী বলেন সব রাজ্য আমার কেড়ে নেব আমি। তাহলেও বিরোধী বলে কিছু থাকবে না। এইগুলোই হচ্ছে এই সরকারের কুপ্রভাব। আমাদের একটাই দাবি মানুষ যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেন। ভোট দিতে পারেন সেই কারণে আমরা হাইকোর্টে যাচ্ছি। এরপর কে হারবেন কে জিতবেন তা সম্পূর্ণ মানুষের সিদ্ধান্ত।”
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার কলকাতার নতুন মেয়রের নাম ঘোষণা হয়েছে। ফিরহাদ হাকিমকে কলকাতার মহানাগরিকের পদে বসিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপ-মহানাগরিক হয়েছেন অতীন ঘোষ। চেয়ার পার্সন মালা রায়। তবে শুধু কংগ্রেস নয় কলকাতা পুরভোট নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি ও বামফ্রন্ট।
এই পুরভোটকেই ভোট বলে মানতে নারাজ। তাই মেয়র কে হল তা নিয়েও কোনও মাথা ব্যাথা নেই বলেই জানিয়েছেন বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “এই ভোটকে তো আমরা নির্বাচন হিসাবেই গণ্য করছি না। তাই কে মেয়র হলেন, তা নিয়ে আমাদের চিন্তা নেই। ভোট শান্তিপূর্ণ হলেও আমরা সব আসন পেতাম না। কিন্তু এতে প্রকৃত মূল্যায়ণ হয়নি। আর ফিরহাদ হাকিমের মেয়র থাকাকালীন আমফানে দুর্দশা, জল জমা দেখেছি। তাই পুরসভা তার মতোই চলবে। ব্যক্তি ফিরহাদে বিরোধ নেই। বিরুদ্ধে বক্তব্যও নেই। মেয়র করার পদ্ধতি এবং মিনি পাকিস্তান মন্তব্যে আমাদের বিরোধ ছিল। আমাদের ফিরহাদ নিয়ে তৃণমূলের পারিবারিক দ্বন্দ্ব নিয়ে বক্তব্য নেই।”
আরও পড়ুন: BJP District President: এবার উত্তর কলকাতার বিজেপি সামলাবেন কল্যাণ চৌবে, বদল অধিকাংশ জেলা সভাপতিই
আরও পড়ুন: Daspur Robbery: শীত পড়তেই সক্রিয় চোরেরা! একসঙ্গে ৩টে বাড়িতে চুরি