মুর্শিদাবাদ: বাড়ির সামনে থেকে বাচ্চা অপহরণের অভিনব ফাঁদ পেতেছিল। ইলেকট্রিকের বিল দেওয়ার নাম করে বাড়িতে ঢুকেছিল। সম্পূর্ণ অচেনা এক ব্যক্তি। বাচ্চাটি তখন বাড়ির বাইরে একটু দূরে খেলছিল। বাচ্চাটি যে সেখানে খেলছিল, তা আগেভাগেই দেখে নিয়েছিল অপহরণকারী। বাড়িতে ঢুকে গৃহিণীর কাছে জানায়, একটি জরুরি ফোন করতে হবে। সেই বলে গৃহিণীর মোবাইল চায় এবং ফোন করার জন্য বাড়ির বাইরে চলে যায়। আর এরপরই সেই বাচ্চাটির কাছে গিয়ে মোবাইলের লোভ দেখায়। বাচ্চাটি এগিয়ে যেতেই তাকে ভুলিয়ে-ভালিয়ে বাইকে চাপিয়ে চম্পট দেয় অভিযুক্ত। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের সাগরপাড়া থানা এলাকার ধনিরামপুরে।
যদিও পুলিশের তৎপরতায় শেষ পর্যন্ত উদ্ধার করা হয় বছর দশের ওই নাবালককে। জানা যাচ্ছে, এদিন যখন বাচ্চাটিকে বাইকে চাপিয়ে এলাকা থেকে চম্পট দিচ্ছিল অভিযুক্ত, সেই সময় আশপাশের স্থানীয় বাসিন্দারা চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দিয়েছিলেন। এমনকী পিছন পিছন ধাওয়াও করেছিলেন কয়েকজন। দৌড়ে গিয়ে ধরার চেষ্টা করেছিলেন এলাকাবাসীরা। কিন্তু বাইক ছুটিয়ে দ্রুত গতিতে সেখান থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। এরপর আর দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় সাগরপাড়া থানায়। নাবালককে অপহরণের অভিযোগ পেতেই তৎপরতার সঙ্গে পদক্ষেপ করেন পুলিশকর্মীরা।
চারদিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে দেয় পুলিশ। যেখান থেকে ওই বাচ্চাটিকে অপহরণ করা হয়েছিল, সেই জায়গাটিকে কেন্দ্র করে চারদিকে একটি নির্দিষ্ট বড় ব্যাসার্ধ জুড়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন পুলিশকর্মীরা। জোরকদমে নাবালকের খোঁজে সন্ধান অভিযান চালান পুলিশকর্মীরা। শেষ পর্যন্ত সাগরপাড়া থানারই অন্তর্গত দেবীপুর এলাকা থেকে ওই অপহরণ হয়ে যাওয়া বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। তবে অভিযুক্তের সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, দেবীপুর এলাকায় বাচ্চাটিকে রেখে পালিয়ে গিয়েছে অভিযুক্ত।
এদিকে ওই নাবালককে উদ্ধারের পর পুলিশের তরফে যোগাযোগ করা হয় পরিবারের সঙ্গে এবং বাচ্চাটিকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। বাড়ির একমাত্র সন্তানকে ফিরে পেয়ে খুশি পরিবারের লোকেরাও। পুলিশ-প্রশাসনকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁরা।