Medical College: লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি! ‘আরও একজন সন্দীপ ঘোষ হতে দেব না’, আবারও মুখ খুললেন আখতার আলি
Medical College: বরাত পাইয়ে দেওয়া হয়েছে হাসপাতালের ১০০ মিটারের মধ্যে থাকা বেসরকারি হাসপাতালের এক ঠিকাদারকে। এই ঠিকাদারের সংস্থাকে ব্ল্যাক লিস্টে রেখেছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ। তারপরও তারা কীভাবে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে বরাত পেল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
মুর্শিদাবাদ: সরকারি হাসপাতালে দুর্নীতির আখড়া! আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে এমন দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। নিয়োগ থেকে মৃতদেহ, অভিযোগ উঠেছে একাধিক ক্ষেত্রে দুর্নীতি নিয়ে। আর এবার একইভাবে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এল আরও একটি মেডিক্যাল কলেজ থেকে। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজেও একই ছবি?
২০২০ সালে কোভিডের সময় থেকে নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সেই সময় টাকার বিনিময়ে নিয়োগ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। কোভিড শেষ হয়ে যাওয়ার পর তাঁদেরকে কাজ থেকে বরখাস্ত করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁরা বারবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হলেও সুরাহা মেলেনি। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের দ্বারস্থও হয়েছেন তাঁরা। আজও তাঁরা আশায় আছেন যদি কোনও শূন্যপদ তৈরি হয়, তবে সেখানে তাঁদের নিয়োগ করা হবে।
অন্যদিকে বর্তমানে নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগের ক্ষেত্রেও রয়েছে দুর্নীতির অভিযোগ। বিভিন্ন টেন্ডারে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বরাত পাইয়ে দেওয়া হয়েছে হাসপাতালের ১০০ মিটারের মধ্যে থাকা বেসরকারি হাসপাতালের এক ঠিকাদারকে। এই ঠিকাদারের সংস্থাকে ব্ল্যাক লিস্টে রেখেছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ। তারপরও তারা কীভাবে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে বরাত পেল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডেপুটি সুপার আখতার আলি বলেন, এই বিষয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। বারবার অভিযোগ উঠে আসছে। তিনি জানান, যাঁরা দেড় বা ২ লক্ষ টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁরাই সব স্বীকার করেছেন। সেই ফুটেজও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি আখতার আলির। তিনি বলেন, “সব জানানো সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। আমার সন্দেহ এর পিছনে কোনও সরকারি কর্মীর হাত আছে। আমি থাকতে দ্বিতীয় আরজিকর হতে দেব না। দ্বিতীয় সন্দীপ ঘোষ তৈরি হতে দেব না।” এই বিষয়ে চিকিৎসক রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “৩৭ জন নিরাপত্তার রক্ষী নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে।। যদিও এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অমিত দাঁ।”
উল্লেখ্য, আরজি কর হাসপাতালের দুর্নীতি নিয়ে বহুদিন ধরে সরব হয়েছিলেন হাসপাতালের তৎকালীন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। তিলোত্তমা-কাণ্ডের পর সেই অভিযোগ নিয়ে নতুন করে তদন্ত শুরু হয় ও তদন্তভার নেয় কেন্দ্রীয় সংস্থা।