সাগরদিঘি ও সাঁকরাইল: মাঝে আর কয়েকটা দিন। ২৭ ফেব্রুয়ারি সাগরদিঘি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনে। আর তার ঠিক আগে কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে উঠল যৌন হেনস্থার অভিযোগ। কংগ্রেস প্রার্থীর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুললেন হাওড়ার এক মহিলা। এই নিয়ে সাঁকরাইল থানায় তিনি অভিযোগও দায়ের করেছেন। তবে এই অভিযোগের পিছনে রাজনীতি দেখছে হাত শিবির। কংগ্রেসের দাবি, হারার ভয়ে ভোটের আগে মানুষের কাছে বায়রনের ভাবমূর্তি খারাপ করতেই এই অভিযোগ করানো হয়েছে।
মঙ্গলবার সাঁকরাইল থানায় ওই মহিলা অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগপত্রে তিনি লিখেছেন, ২০১৮ সালে তাঁর সঙ্গে বায়রন বিশ্বাসের পরিচয় হয়। তার পর তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়। তবে বর্তমানে বায়রনের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ নেই। কিন্তু, কয়েকদিন থেকে ওই কংগ্রেস প্রার্থী তাঁকে বিভিন্ন মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে বিরক্ত করছেন। এমনকি এই বিষয়টি কাউকে জানালে তাঁর ভয়ঙ্কর পরিণতি হবে বলে হুমকি দিয়েছেন বায়রন বিশ্বাস।
বায়রন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে সরব হয়ে ওই মহিলা অভিযোগ করেন, চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বায়রন বিশ্বাস তাঁকে যৌন হেনস্থা করেছেন। আসন্ন উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থীকে ভোট না দেওয়ারও আবেদন করেন তিনি।
মহিলার অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কংগ্রেসের তরফে এই নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করার দাবি জানিয়েছে রাজ্যের শাসকদল। একইসঙ্গে বায়রন বিশ্বাসের প্রার্থীপদ প্রত্যাহারেরও দাবি জানিয়েছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কংগ্রেস প্রার্থী। তিনি বলেন, “আজ আমার নামে এমন অভিযোগ শুনছেন। কাল হয়ত অধীর চৌধুরীর নামে শুনবেন। তৃণমূল বুঝে গিয়েছে হেরে যাবে তারা। তাই এসব করছে।”
কংগ্রেস প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, “বায়রন বিশ্বাস তো ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাঁকে গ্রেফতার করে নিক। তৃণমূল দেখছে, কংগ্রেস প্রার্থী জিতে যেতে পারেন। তাই বায়রনকে মানুষের কাছে খারাপ প্রমাণ করতে একটা কেস চাপিয়ে দিল। তবে ২৭ তারিখ ভোট হবেই।”