Burwan: স্থায়ী সমিতি গঠনকে কেন্দ্র করে অশান্তি বড়ঞায়, তৃণমূলের অন্দরের কোন্দল ফের প্রকাশ্যে
TMC: স্থায়ী সমিতি গঠনের প্রক্রিয়া থেকে 'ওয়াক আউট' তৃণমূলের মাহে আলম গোষ্ঠীর। সোমবার মুর্শিদাবাদের বড়ঞা পঞ্চায়েত সমিতিতে স্থায়ী সমিতি গঠনের কথা ছিল। সেখানেই বাধে গোল। বড়ঞা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুলতানা খাতুন-সহ অন্যান্য তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি সিপিআইএমের এক প্রার্থীকে ভোট দেয় বলে অভিযোগ।

মুর্শিদাবাদ: পঞ্চায়েত সমিতিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ। তারপরও তৃণমূলের দলীয় কোন্দল যেন মিটছেই না। একাধিক পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠনের ক্ষেত্রে এই ছবি দেখা গিয়েছে। এবার মুর্শিদাবাদের বড়ঞা পঞ্চায়েত সমিতিতেও সেই ঘটনা। স্থায়ী সমিতি গঠনের প্রক্রিয়া থেকে ‘ওয়াক আউট’ তৃণমূলের মাহে আলম গোষ্ঠীর। সোমবার মুর্শিদাবাদের বড়ঞা পঞ্চায়েত সমিতিতে স্থায়ী সমিতি গঠনের কথা ছিল। সেখানেই বাধে গোল। বড়ঞা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুলতানা খাতুন-সহ অন্যান্য তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি সিপিআইএমের এক প্রার্থীকে ভোট দেয় বলে অভিযোগ। এরপরই বড়ঞা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মাহে আলমের নেতৃত্বে ৯ জন সেখান থেকে বেরিয়ে যান।
এদিন সকাল ১১টা থেকে বড়ঞা পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতির ভোটাভুটি শুরু হয়। মাহে আলম বলেন, “খড়গ্রামের বিধায়ক আশিস মার্জিত উপস্থিত ছিলেন। তিনি দলের সদস্যদের ভোট দিলেও অনেকেই সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপিকে ভোট দিলেন। ওঁরা বিরোধীদের রেখে স্থায়ী সমিতি তৈরি করছিলেন। তাই বেরিয়ে চলে আসি।”
অন্যদিকে বিধায়ক আশিস মার্জিত বলেন, “আমাদের কয়েকজন সদস্য বেরিয়ে গিয়েছেন। এটা ঠিকই যে নির্বাচিত সদস্যদের মধ্যে দু’টো ভাগ হয়ে গিয়েছে। ভুল বোঝাবুঝির কারণে এটা হয়েছে। তাই সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও আজকে স্থায়ী সমিতি আমরা করতে পারলাম না।”