
মুর্শিদাবাদ: ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের প্রস্তাবিত ‘বাবরি মসজিদের’ জন্য দানের পাহাড়। মসজিদের জন্য ১১ টি বাক্সে জমা পড়েছে টাকা। তার মধ্যে ৭টি বাক্স এখনও পর্যন্ত গোনা শেষ হয়েছে। তাতে টাকার পরিমাণ ৩৭ লক্ষ টাকা। এখনও পর্যন্ত চারটি বাক্স গোনা বাকি রয়েছে। রবিবারই টাকা গুনতে আনা হয়েছিল মেশিন। অন্যদিকে সামাজিক মাধ্যমেও অনুদানের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিউ আর কোড দিয়েছিলেন। পাশাপাশি দিয়েছিলেন ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বর। সেখানে এখনও পর্যন্ত এক কোটি ৬০ লক্ষ টাকা জমা পড়েছে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ২ কোটির বেশি টাকা তাঁর কাছে এসে পৌঁছেছে। বাকি চারটি দানবাক্সের টাকার পরিমাণ গুনলে মনে করা হচ্ছে আড়াই কোটি ছুঁয়ে যেতে পারে।
দানবাক্সে টাকা গোনার মধ্যে ধর্মগুরুদের আনা হয়েছিল। তাঁরা মেশিনের সাহায্যে টানা গুনেছেন। হুমায়ুন বলছেন, “ব্যাঙ্কের একটা লিমিট থাকে। প্রতিদিন ২০ লক্ষ টাকা এন্ট্রি করার জন্য লিমিট করা ছিল। কাল একইদিনে ২০ লক্ষ টাকা উঠে গিয়েছে। ব্যাঙ্ক থেকে ওর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পরে চিফ ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগ করে লিমিট ৪০ লক্ষ করা হয়েছে। ”
যেদিন বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করছিলেন হুমায়ুন, সেদিনও তাঁকে বলতে শোনা হয়েছিল, অনেক বাধা পেরিয়ে তিনি এই জায়গায় এসে পৌঁছেছেন। কোনও ভাবেই সরকারি সাহায্য নেবেন না তিনি। মসজিদ নির্মাণ হবে কেবল অনুদানের টাকাতেই। আর সেক্ষেত্রে টাকার কোনও খামতি হবে না বলেও আত্মবিশ্বাসী হুমায়ুন। শনিবার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন তিনি। মাঝের দু’দিন। তার মধ্যেই এক চিকিৎসক তাঁকে এক কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন।
ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেই হুমায়ুন দাবি করেছেন, এক ব্যক্তি তাঁকে মসজিদ নির্মাণের জন্য ৮০ কোটি টাকা দেবেন। যদিও তিনি নাম প্রকাশ করতে বারণ করেছেন। তাই হুমায়ুন তাঁর পরিচয় সামনে আনেননি।
যদিও সত্যিই এই হিসাব মেলে, তাহলে ঘোষণার দুদিনের মধ্যেই প্রায় ৮৪ কোটির অনুদান হাতে রয়েছে হুমায়ুনের। বাজেট ৩০০ কোটি। মসজিদের পাশাপাশি হাসপাতাল, স্কুলও করবেন হুমায়ুন। তেমনই লক্ষ্য রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, “সব থেকে বেশি সংখ্যক মুসলমান বাস করেন মুর্শিদাবাদ অঞ্চলে। এখানকার ধর্মপ্রাণ মানুষরা মনে করছেন, একটা মসজিদ হবে। ধর্মীয় ভাবাবেগে প্রভাবিত হয়ে চাঁদা দিয়েছেন। এটাকে আমরা কখনও অবজ্ঞা করতে পারি না। “