BSF: বিএসএফ বাধা দিতেই অনুপ্রবেশকারীর হামলা! পাল্টা গুলি, হাসপাতালে মৃত্যু বাংলাদেশির

Sayanta Bhattacharya | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Aug 12, 2024 | 4:32 PM

Murshidabad: পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ ও মালদহ জেলার মধ্যে বহরমপুর ও মালদহের সেক্টর হেড কোয়ার্টারে গবাদি পশু পাচারকারী এবং অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের দ্বারা বিএসএফ জওয়ানদের উপর একই ধরনের মারাত্মক আক্রমণ ঘটেছে। নাটনা ফরোয়ার্ড, কাহারপাড়া এবং অনুরাধাপুর বর্ডার ফাঁড়িতে, উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া জেলার সেক্টর হেড কোয়ার্টার কলকাতা ও কৃষ্ণনগরের অধীনে মাহেদ্রা এবং ঘোজাডাঙ্গা বর্ডার ফাঁড়িতেও হামলার খবর পাওয়া গিয়েছে।

BSF: বিএসএফ বাধা দিতেই অনুপ্রবেশকারীর হামলা! পাল্টা গুলি, হাসপাতালে মৃত্যু বাংলাদেশির
প্রতীকী চিত্র।
Image Credit source: Facebook

Follow Us

মুর্শিদাবাদ: সুতির চাঁদনি চক বর্ডার ফাঁড়ি। গত ১২ অগস্ট কয়েকজনকে ভারতের দিক থেকে বাংলাদেশের দিকে মাথায় জিনিস নিয়ে যেতে দেখা যায়। জওয়ানদের বাধা উপেক্ষা করেও তারা এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সেই সময় আড়ালে লুকিয়ে থাকা আরও ৫-৬ জন জওয়ানদের উপর ধারাল অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করে। আত্মরক্ষার্থে চোরাকারবারীদের লক্ষ্য করে এক রাউন্ড গুলি চালান জওয়ান। অভিযুক্তরা অন্ধকার, বুনো ঝোঁপঝাড়ের আড়াল দিয়ে ভারতীয় সীমান্তের দিকে যায়। টহলের দায়িত্বে থাকা কোম্পানি কমান্ডার অবিলম্বে ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং জওয়ানদের সঙ্গে এলাকায় তল্লাশি করেন।

এলাকা থেকে ৬ বান্ডিল বিড়ির পাতা উদ্ধার হয়। জঙ্গলে একজন বাংলাদেশিকে আহত অবস্থায় উদ্ধারও করা হয়। মুর্শিদাবাদের মহেশাইল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি একজন চোরাকারবারি। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঋষিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আইবি থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঋষিপাড়া গ্রামটি ৪.৫ কিলোমিটার। এই চোরাকারবারি  বাংলাদেশের বিজিবির (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) নিরাপত্তা কর্ডন অতিক্রম করে অবৈধভাবে ভারতীয় সীমান্তে প্রবেশ করেছিল বলে অভিযোগ।

এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ ও মালদহ জেলার মধ্যে বহরমপুর ও মালদহের সেক্টর হেড কোয়ার্টারে গবাদি পশু পাচারকারী এবং অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের দ্বারা বিএসএফ জওয়ানদের উপর একই ধরনের মারাত্মক আক্রমণ ঘটেছে। নাটনা ফরোয়ার্ড, কাহারপাড়া এবং অনুরাধাপুর বর্ডার ফাঁড়িতে, উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া জেলার সেক্টর হেড কোয়ার্টার কলকাতা ও কৃষ্ণনগরের অধীনে মাহেদ্রা এবং ঘোজাডাঙ্গা বর্ডার ফাঁড়িতেও হামলার খবর পাওয়া গিয়েছে।

এই ঘটনাগুলিতে জওয়ানরা আত্মরক্ষায় স্টান গ্রেনেড, পিএজি এবং অন্যান্য অস্ত্র ছুড়েছে, চোরাচালানের চেষ্টা এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ করেছে। ৬৮২ বোতল ফেনসিডিল, ৫০ কেজি চিনি এবং একটি গবাদি পশু উদ্ধার করেছে বলেও খবর। এমনকী বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে মিটিংয়েও এই ধরনের হামলার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। হামলা ও আত্মরক্ষামূলক গুলি চালানোর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি প্রাথমিক প্রতিবেদনও দাখিল করা হয়েছে।

বিএসএফ দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের মুখপাত্র একে আর্য (ডিআইজি) জানান, এই ধরনের ঘটনা অস্বাভাবিক নয়। ব্যতিক্রমী সাহস ও সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার জন্য তিনি বিএসএফ জওয়ানদের প্রশংসা করেন। বাংলাদেশি অপরাধীদের চলমান হামলা ও অবৈধ অনুপ্রবেশ সম্পর্কে বিজিবির সঙ্গে বারবার পতাকা বৈঠক করেও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ।

Next Article