Yusuf Pathan: বহরমপুরে আর ‘রবিনহুড’ নন, পাঠানের ‘রাজ’ শুরু, কীভাবে মুসলিম তাসেই ইউসুফের কেল্লাফতে?
Yusuf Pathan: ইউসুফ পাঠানের নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা হওয়ার পর তৃণমূলের অন্দরেই প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকে। অধীরের বিরুদ্ধে লড়াইতে স্থানীয় কোনও নেতাকে কেন ভরসা করলেন না মমতা?
মুর্শিদাবাদ: লোকসভা ভোটের আগে গত ১০ মার্চ ব্রিগেড ময়দানে জনগর্জন সভার আয়োজন করেছিল তৃণমূল। নেতাদের বক্তব্য় শেষে একে একে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করছিলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। আর সেই তালিকাতেই ছিল বড় চমক। বহরমপুরের মতো কঠিন আসনে ইউসুফ পাঠানের নাম ঘোষণা হওয়ায় চমকে গিয়েছিলেন অনেকেই। ক্রিকেট ব্যাটে ঝড়তোলা ইউসুফের রাজনীতির ক্রিজে পা রাখা সে দিনই প্রথম। আর প্রথম ভোটেই ‘রবিনহুড’ অধীর চৌধুরীকে হারিয়ে জয়ী হলেন ইউসুফ।
কত ভোট পেলেন ইউসুফ পাঠান
নির্বাচন কমিশন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বহরমপুর কেন্দ্র থেকে ইউসুফ পাঠান পেয়েছেন ৫২৪৫১৬টি ভোট। ওই কেন্দ্রে দ্বিতীয় স্থানে থাকা অধীর চৌধুরীর থেকে ৮৫০২২ ভোট বেশি পেয়েছেন ইউসুফ।
বাংলায় সাংসদ হলেন গুজরাটের ইউসুফ
বহরমপুরে এসে ব্যাপক প্রচার চালিয়েছেন ইউসুফ পাঠান। তিনি গুজরাটের বরোদার পাঠান পরিবারের ছেলে। ২০০৭ থেকে ভারতীয় ক্রিকেট দলের সদস্য তিনি। আইপিএল থেকে ওয়ান ডে ইন্টারন্যাশনাল- একের পর এক ম্যাচ খেলেছেন তিনি। আর এবার ভোটের ময়দানেও দেখিয়ে দিলেন তাঁর ‘পারফরম্যান্স’।
‘বহিরাগত’কেই ভরসা করল বহরমপুর!
ইউসুফ পাঠানের নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা হওয়ার পর তৃণমূলের অন্দরেই প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকে। অধীরের বিরুদ্ধে লড়াইতে স্থানীয় কোনও নেতাকে কেন ভরসা করলেন না মমতা? প্রশ্ন উঠেছিল রাজনৈতিক মহলেও। অধীরের মতো পোড় খাওয়া রাজনীতিককে হারাতে ভদোদরার ক্রিকেটারের ওপর ভরসা কেন? সব জবাব অবশ্য ভোটবাক্সে দিয়ে দিয়েছেন ইউসুফ। ৫ বারের সাংসদকে পরাস্ত করেছেন তিনি। একাংশের মতে, সংখ্যালঘু ভোট এগিয়ে দিয়েছে ইউসুফকে।
জয়ের পর ইউসুফ বলেছেন, বহরমপুরের মানুষের কাছে অনেক ভালবাসা পেয়েছেন তিনি। আগামিদিনে ভাই হিসেবে, বন্ধু হিসেবে কাজ করতে চান। বর্তমানে ক্রিকেটের ময়দান থেকে দূরে থাকলেও ক্রিকেট অ্যাকাডেমি আছে ইউসুফের।