
মুর্শিদাবাদ: সাসপেন্ড হয়েছেন, কিন্তু তাও কিছুতেই দমতে নারাজ হুমায়ুন কবীর। ৬ ডিসেম্বর বেলডাঙায় বাবরি মসজিদের শিলান্য়াস হচ্ছেই। সাসপেনশনের পরেও জোর গলায় বলতে শোনা গেল হুমায়ুন কবীরকে। সাফ বললেন, “কোনও সতর্কতা নিচ্ছিনা। অনুষ্ঠান যেমন হওয়ার তেমনই হবে। ২ হাজার ভলান্টিয়র নিয়ে আমি নিজে থাকব। ওদের ক্রস করে আমাকে যদি গ্রেফতার করে করবে। আমি চলে আসব। বাধাও দেব না। আমাকে গ্রেফতার করলে আইন মোতাবেক লড়ব। আমি আইনে আস্থাশীল।” শুধু তাই নয় এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বারবার প্রশ্ন তুললেন মুসলিমদের অধিকার নিয়ে। কেন সরকারি টাকায় মন্দির হচ্ছে রাজ্যে, কেন দুর্গাপুজোয় অনুদান দেওয়া হচ্ছে সেই প্রশ্ন তুললেন বারবার। একইসঙ্গে করলেন ‘দুটো ক্ষতির’ আশঙ্কা।
চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে কার্যত হুঙ্কারের সুরে বললেন, “এটা কী হিন্দুস্তান? এখানে মুসলমানদের কোনও কিছু করার অধিকার আছে কিনা সেটা আমি আগামীদিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে বুঝিয়ে দেব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে গ্রেফতার করা ছাড়া কিছু করতে পারবে না।” একইসঙ্গে করলেন খুুনের আশঙ্কা। তবে তিনি মরতেও প্রস্তুত তাও জানালেন সোচ্চারে। বললেন, “আমাকে কাউকে দিয়ে খুন করিয়ে দিতে পারে। আমি নিশ্চয় খুনের আশঙ্কা প্রকাশ করছি। এরা চক্রান্ত করে আমাকে খুন করিয়ে দিতে পারে। খুন হতেও প্রস্তুত আছি। মরতে আমি ভয় পাই না।”
অন্যদিকে এদিনই আবার বহরমপুরে সভা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেখান থেকেও নাম না করে হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন তিনি। তুলেছেন বিজেপির সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগ। তাঁর স্পষ্ট কথা, “কেউ-কেউ মুর্শিদাবাদে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছেন। বিজেপির থেকে টাকা খেয়ে ভোটের আগে এইসব করেন। এই অশান্তিতে প্রশ্রয় দেবেন না। কেউ কেউ টাকা খেয়ে ভোটের আগে বিজেপির তাবেদারি করে। এরা দেশের শত্রু।” যদিও হুমায়ুনও পাল্টা কটাক্ষবাণ শানিয়ে বলছেন, “আগামীতে এই আরএসএস মার্কা মুখ্যমন্ত্রীর থেকে সরাসরি বিজেপির কেউ মুখ্যমন্ত্রী হোক আমি স্বাগত জানাব।”