মুর্শিদাবাদ: রাতের অন্ধকারে ভয়াবহ ঘটনা মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘী। প্রথমে ঢেলে দেওয়া হল পেট্রোল। তারপর ফাটানো হল একাধিক বোমা! সেই ভয়াবহ বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন বাকি সদস্যরাও। তাঁদের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে। ওই বাড়ির জামাই রমজান শেখের বিরুদ্ধেই আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে। বছর দুয়েক আগে বীরভূমের বগটুইতে রাতের অন্ধকারে একের পর এক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সাগরদিঘীর ঘটনা যেন সেই স্মৃতিই ফেরাচ্ছে।
মৃত্যু হয়েছে কুবরা বিবি, তাঁর পুত্রবধূ তাহেরা খাতুন ও নাতি তৌফিক শেখের। শুক্রবার রাতে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘী থানার বাহালনগরে ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে সাগর দীঘি থানার পুলিশ। অবৈধ সম্পর্ক নিয়ে শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে জামাইয়ের বিবাদ চলছিল বেশ কিছুদিন ধরে, এমনটাই বলছেন আত্মীয়রা। প্রশ্ন উঠেছে, তার জেরেই কি এই ঘটনা?
জানা গিয়েছে, রমজান শেখের স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে অনেক আগেই। তাঁকে খুন করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, স্ত্রীর মৃত্যুর আগে থেকেই রমজান বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। নিজের শ্যালকের স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল বলেই জানা গিয়েছে। তাই স্ত্রী মারা গেলেও, মাঝেমধ্যেই শ্বশুরবাড়িতে যেতেন রমজান।
অভিযোগ, এর আগেও একাধিকবার শ্যালকের স্ত্রীকে নিজের সঙ্গে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোক তাতে বাধা দেয়। শুক্রবারও একই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। বারবার শ্যালকের স্ত্রীকে নিয়ে যেতে চাইলেও সবাই বাধা দেয়, তার জেরেই শুরু হয় বিবাদ। এরপরই এভাবে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। সাগরদিঘী থানার পুলিশ আহতদের সাগরদিঘী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করেছে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত রমজান শেখের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।