রঘুনাথগঞ্জ : ফের সদ্যোজাতর দেহ উদ্ধার। ক্যানেলের ধারে পড়ে ছিল শিশুটির দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে রঘুনাথগঞ্জ থানা (Raghunathganj Police Station) মন্ডলপুর এলাকায়। সদ্যোজাতের দেহ পড়ে থাকতে দেখে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পরবর্তীতে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে। কে বা কারা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে, সেই বিষয়ে তদন্ত নেমেছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ।
ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল প্রায় ন’টা। আর পাঁচটা দিনের মতো আজই সকালে রঘুনাথগঞ্জ থানা এলাকায় মণ্ডলপুরের ক্যানেলে কাজ করতে এসেছিলেন কিছু শ্রমিক। আর সেই সময়েই ক্যানেলের ধারে তাঁরা একটি সদ্য়োজাত শিশুর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে খবর পাঠানো হয় রঘুনাথগঞ্জ থানায়। পুলিশ এসে ওই সদ্যোজাতের দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।
কীভাবে শিশুটির মৃত্যু হল, কে বা কারা ওই শিশুটিকে ক্যানেলের ধারে ফেলে রেখে গেল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই সব প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজতে তদন্ত শুরু করেছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। শিশুটির দেহ ক্যানেল থেকে উদ্ধারের পর জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাসে এলেই স্পষ্ট হবে, কীভাবে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিন বাকুড়ার ছাতনা থাকা এলাকা থেকে ধানজমি থেকে উদ্ধার হয়েছিল মাত্র ষোল দিন বয়সী কন্যাসন্তানের মৃতদেহ। পর পর দুই কন্যা সন্তানের জন্ম হওয়ায় খুশি ছিল আশ্বিনাথ সোরেন। এদিকে ছোট মেয়েকে হঠাৎ খুঁজে না পেয়ে সন্দেহ হয় মায়ের। এর পর তাঁর দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছিল ছাতনা থানার পুলিশ। তার পর ধানজমি থেকে পাওয়া যায় শিশুর মরদেহ। অভিযোগ, তার বাবাই তাকে খুন করে দেহ লোপাটের জন্য লুকিয়ে রাখে ধানজমিতে।
শহর কলকাতাতেও সম্প্রতি এমন এক খবর প্রকাশ্যে এসেছিল, যা শুনলে শিউরে উঠবেন আপনি। মা চেয়েছিলেন প্রথম সন্তান হোক ছেলে। কিন্তু ইচ্ছেপূরণ হয়নি। তাই মাত্র একদিনের কন্যাসন্তানকে হাসপাতালের বেডেই বালিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেলেছেন তিনি! চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটিও ঘটেছিল লক্ষ্মীপুজোর দিন।
গত ১৮ অক্টোবর কলকাতার একবালপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন জনৈক লাভলি সিং। মঙ্গলবারই এক ফুটফুটে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন তিনি। সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল সে। কিন্তু এদিন কেবিনে গিয়ে নার্স দেখেন, সদ্যোজাত আর নড়াচড়া করছে না। শ্বাসপ্রশ্বাসও নেই। এদিকে পাশেই শুয়ে মা। তাঁকে জিজ্ঞেস করলে তিনি নীরব থাকেন বলে জানা গিয়েছে। এর পর পুলিশে খবর দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, পরে মা নিজেই স্বীকার করে নেন তাঁর অপরাধের কথা। জানান, তিনিই নিজের একদিনের সন্তানকে বালিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেলেছেন। কারণ, এটা তাঁর প্রথম সন্তান। তিনি চেয়েছিলেন ছেলে হোক তাঁর। খোদ শহর কলকাতার বুকে এমন ঘটনায় স্তম্ভিত সবাই।
আরও পড়ুন : Mamata Banerjee: নতুন ভোটার তালিকা এলেই পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর