
মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার আগেই বলেছিলেন, ‘ছেড়ে কথা বলা হবে না কাউকে। যে বা যারা অপরাধ করছে, বোমা তৈরি করছে তাদের কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে।’ আর তারপরই দেখা যাচ্ছে, বোমা উদ্ধারে রীতিমতো যেন প্রতিযোগিতা চলছে। মুর্শিদাবাদ যেন নিজেই নিজের প্রতিযোগী! জঙ্গিপুরের রঘুনাথগঞ্জের সেকেন্দ্রা গ্রাম পঞ্চায়েতের লিচুবাগান এলাকা থেকে শনিবার সকালে জাড় ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে।
শুধু সামশেরগঞ্জ নয়, এর পাশাপাশি পূর্ব দেবীদাসপুর আমবাগান থেকে ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে। একই সঙ্গে সুতি থানার অন্তর্গত লক্ষ্মীপুর পঞ্চায়েতের চাঁদবাড়ি এলাকা থেকেও উদ্ধার হয়েছে তিনটি বালতি ভর্তি তাজা বোমা। যা ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। অন্যদিকে মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলায় বড়ঞায় পঞ্চাশের বেশি উদ্ধার তাজা বোমা। মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলা বোমা সংক্রান্ত টোল ফ্রি নাম্বার চালু করার পর থেকে দুই সপ্তাহে প্রায় ১৫০০ তাজা বোমা উদ্ধার করেছে। একই সঙ্গে আঠাশটি মামলা রুজু হয়েছে। ইতিমধ্যেই কুড়িজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর আগে পুলিশ সুপার বার্তা দিয়ে বলেছিলেন, “যারা এই দুষ্কৃতীমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত তারা ছেড়ে দিন,নইলে কষ্ট আছে। বোম স্কোয়াড নিয়ে ঘুরব। আর যারা এ কাজের সঙ্গে যুক্ত তাদের গ্রেফতার করে ট্রায়ালে নেব। জেল থেকে আর বেরোতে দেব না।” তিনি আরও বলেন, “বিগত দু’মাস ধরে কাজ চলছিল আমাদের। এর অনেকটা ফরম্যাট আছে। কে বোমা বাঁধে আর কে বোমা ফেলে আর কে বোমের মশলা জোগান দেয় দেখেছি। আমরা এই সার্ভে করেছি থানা-অঞ্চল-গ্রাম মিলিয়ে। এও জানতে পেরেছি, এখানে একটি গ্রাম আছে যেখানে এই ধরনের কাজ চলে। ২০১৭ থেকে কারা কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সব ডেটা পেয়েছি। ৯৫ শতাংশ ওই গ্রামের লোক। তাই এটা ওয়ার্নিং। বোম স্কোয়াড নিয়ে ঘুরব। একবার গ্রেফতার হলে কাউকে ছাড়া হবে না।”