
মুর্শিদাবাদ: সীমান্তে পাচার রুখতে তৎপর বিএসএফ(BSF)। পাচারকারীরাও চোরাচালানের নতুন নতুন ‘পন্থা’ বের করছে। তবে BSF-র তৎপরতায় ফের ভেস্তে গেল পাচারকারীদের সোনা পাচারের ছক। নির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে চরভদ্রা ফরওয়ার্ড বর্ডার আউটপোস্টে মোতায়েন BSF-র ১৪৬ ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা সোনা চোরাচালানের চেষ্টা ব্যর্থ করেছেন। BSF জওয়ানরা সীমান্তের কাছে একটি জমিতে লুকানো আটটি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করেছেন। বাজেয়াপ্ত সোনার ওজন মোট ৮৩২.৫৫০ গ্রাম। এবং আন্তর্জাতিক বাজারে এর মূল্য আনুমানিক ১.০৯ কোটি টাকা।
বিএসএফ জওয়ানরা খবর পেয়েছিলেন, দুষ্কৃতীরা সীমান্তের ওপারে পাচারের জন্য মাঠের কাছে সন্দেহজনক জিনিস লুকিয়ে রেখেছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে BSF সন্দেহভাজন এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালায়। তল্লাশির সময় জওয়ানরা অস্বাভাবিকভাবে জমে থাকা ঘাসের একটি অংশ দেখতে পান। তা দেখে জওয়ানদের সন্দেহ বাড়ে। জায়গাটি খোঁড়া শুরু করেন। তখনই লাল কাপড়ে মোড়া আটটি সোনার বিস্কুট মাটির নিচে লুকানো অবস্থায় পাওয়া যায়।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কোটি টাকার সোনা বাজেয়াপ্ত করা গেলেও দুষ্কৃতীদের ধরা যায়নি। বিএসএফ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দেখছে। বাজেয়াপ্ত সোনা পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের জনসংযোগ আধিকারিক সোনা চোরাচালানের চেষ্টা ব্যর্থ করার জন্য জওয়ানদের প্রশংসা করেন। একইসঙ্গে তিনি বলেন, শক্তিশালী গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক এবং জওয়ানদের সদা সতর্কতার ফলে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সকল ধরনের অবৈধ কার্যকলাপ রোধে সাফল্য পেয়েছে বিএসএফ। সীমান্তবর্তী বাসিন্দাদের তিনি অনুরোধ করেন, সোনা পাচার সংক্রান্ত যেকোনও খবর পেলে তাঁরা যেন বিএসএফের সীমা সাথী হেল্পলাইন নম্বর ১৪৪১৯-এ অথবা হোয়াটসঅ্যাপ বা ভয়েস মেসেজের মাধ্যমে ৯৯০৩৪৭২২২৭ নম্বরে জানান। বিশ্বাসযোগ্য তথ্য দিলে উপযুক্ত পুরস্কার দেওয়া হবে এবং তথ্যদাতার পরিচয় গোপন রাখা হবে বলে তিনি জানান।