Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

BSF: মুর্শিদাবাদ সীমান্তে কোটি কোটি টাকার হেরোইন বাজেয়াপ্ত, গ্রেফতার বাংলাদেশি পাচারকারী

BSF: ভীত ও আতঙ্কিত হয়ে চোরাকারবারিরা দ্রুত জিনিসপত্রগুলি কাছের ঝোপের মধ্যে ফেলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বিএসএফ জওয়ানরা চোরাকারবারিদের ধাওয়া করে একজনকে ধরে ফেলেন। অন্যজন পালিয়ে যায়।

BSF: মুর্শিদাবাদ সীমান্তে কোটি কোটি টাকার হেরোইন বাজেয়াপ্ত, গ্রেফতার বাংলাদেশি পাচারকারী
৬ কোটি টাকার বেশি মূল্যের হেরোইন বাজেয়াপ্ত করেছে বিএসএফImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 22, 2025 | 7:57 PM

মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে হেরোইন পাচারের চেষ্টা। বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের ফিরোজপুর সীমান্ত ফাঁড়ির জওয়ানদের তৎপরতায় ব্যর্থ হল পাচারকারীদের চেষ্টা। অভিযানের সময় জওয়ানরা ৩.৩৮৭ কেজি হেরোইন বাজেয়াপ্ত করেন। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৬ কোটি ৭৭ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা।

শুক্রবার ফিরোজপুর সীমান্ত ফাঁড়ির জওয়ানরা গোপন সূত্রে তথ্য পান যে সাদামাচর এলাকা থেকে অবৈধ জিনিসপত্র পাচার হতে পারে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে দ্রুত পদক্ষেপ করেন জওয়ানরা। সীমান্ত অঞ্চলে কঠোর নজরদারি শুরু করেন। বিকেল ৪টার দিকে জওয়ানরা ভারতীয় সীমান্ত থেকে বাংলাদেশের দিকে আন্তর্জাতিক সীমান্তে যাওয়া দু’জন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে দেখতে পান। জওয়ানরা দ্রুত তাদের দিকে এগিয়ে যান।

ভীত ও আতঙ্কিত হয়ে চোরাকারবারিরা দ্রুত জিনিসপত্রগুলি কাছের ঝোপের মধ্যে ফেলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বিএসএফ জওয়ানরা চোরাকারবারিদের ধাওয়া করে একজনকে ধরে ফেলেন। অন্যজন পালিয়ে যায়।

এই খবরটিও পড়ুন

এই ঘটনার পর বিএসএফ জওয়ানরা এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু করেন। অভিযান চলাকালীন, ঝোপ এবং আশপাশের এলাকাগুলি তল্লাশি করার সময় জওয়ানরা ৫টি প্যাকেট উদ্ধার করেন। যার মধ্যে সন্দেহজনক বাদামি পাউডার পাওয়া গিয়েছে। উদ্ধার করা প্যাকেটগুলি তাৎক্ষণিকভাবে বাজেয়াপ্ত করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। পরীক্ষার পর জানা যায় যে এই সন্দেহজনক পাউডারটি হেরোইন। উদ্ধার করা হেরোইনের মোট ওজন ৩.৩৮৭ কেজি। এবং এর আনুমানিক বাজারমূল্য ৬ কোটি ৭৭ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চোরাকারবারি স্বীকার করেছে যে সে সাম্প্রতিক বিভিন্ন আন্তঃসীমান্ত চোরাচালান কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত একজন বাংলাদেশি নাগরিক। সে জানায়, প্যাকেটগুলি তার ভারতীয় সহযোগীরা তাকে দিয়েছিল। যারা তাকে সীমান্তের ওপারে অন্য বাংলাদেশি ব্যক্তিকে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। যার বিনিময়ে তার কিছু টাকা পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিএসএফ জওয়ানদের সতর্কতার কারণে সে এই চোরাচালানের প্রচেষ্টায় সফল হতে পারেনি এবং ধরা পড়ে।

বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের জনসংযোগ আধিকারিক বলেন, মাদক পাচারের বিরুদ্ধে অভিযানে একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য। এই সাফল্যের কৃতিত্ব সম্পূর্ণরূপে বিএসএফ জওয়ানদের। যাঁরা দিনরাত সীমান্তে তাঁদের কর্তব্য পালন করেন। তাদের সতর্কতা এবং তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ কেবল চোরাচালানের প্রচেষ্টাকেই ব্যর্থ করে দেয়নি, বরং চোরাকারবারিদের মনোবলকেও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করেছে। যা বিএসএফের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য।