
মুর্শিদাবাদ: জাল কাস্ট সার্টিফিকেট জমা দিয়ে ডাক্তারি পরীক্ষায় পাশ করেছেন। ডাক্তারি পাশ করার পরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে হাউসস্টাফ পদে কর্মরত। চিকিৎসক প্রিয়ান্তি বিশ্বাস নামে এক হাউস স্টাফের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ করেছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা। এই ঘটনার পর শুক্রবার বহরমপুর থানার পুলিশ মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওই হাউসস্টাফের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩৩৬(২), ৩৩৬(৩), ৩৩৬(৪), ৩৩৯, ৩৪০(২) ধারায় মামলা করেছে।
মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। অপরদিকে, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ অমিত কুমার দাঁ বলেন, “ওই হাউস স্টাফের বিরুদ্ধে আমাদের কাছে মাস দেড়েক আগে অভিযোগ এসেছে। তিনি জাল জাতিগত শংসাপত্র জমা গিয়ে তপশিলি জাতি ক্যাটাগরিতে এমবিবিএসে ভর্তি হয়েছিলেন। সেই অভিযোগ আসার পরে আমরা তা রাজ্যের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল এবং স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়কে জানিয়েছি।”
মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৮ জুলাই রাজ্যের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা ইন্দ্রজিৎ সাহা বিধাননগর কমিশনারেটের ইলেক্ট্রনিক কমপ্লেক্স থানায় একটি অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগ মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হাউস স্টাফ পদে কর্মরত এক চিকিৎসক তফশিলি জাতির শংসাপত্র জাল করে এমবিবিএসে ভর্তি হয়েছিলেন। পরে তিনি এমবিবিএস পাশ করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে হাউসস্টাফ পদে রয়েছেন। এরপরে ইলেক্ট্রনিক্স থানার পুলিশ বিষয়টি মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপারকে জানান। তার পরে মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপারের কাছ থেকে সেই চিঠি পাওয়ার পরে ওই হাউসস্টাফের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বহরমপুর থানার পুলিশ।