
মুর্শিদাবাদ: প্রায় সাড়ে ১১ ঘণ্টা পর তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি থেকে বেরোল সিবিআই আধিকারিকরা। ডোমকলের বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়ি থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার কিছু পরে বেরিয়ে যান তদন্তকারী আধিকারিকরা। হাতে ছিল তিনটি ব্যাগ এবং বেশ কিছু নথি। এদিন তৃণমূল বিধায়কের কলেজ থেকে বেশ কিছু ফাইল নিয়ে বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়িতে গিয়েছিল সিবিআই। কত টাকা উদ্ধার হয়েছে নির্দিষ্ট করে এখনও কিছু জানা যায়নি। তবে প্রথমে শোনা গিয়েছিল ২৫ লক্ষ টাকা নগদ উদ্ধার করে সিবিআই। পরে সেই সংখ্যাটা বেড়ে ৩৫ লক্ষ বলে শোনা যায়। পরের ১০ লক্ষ টাকা নাকি বিধায়কের বিছানার তলা থেকে উদ্ধার হয় বলে খবর।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজ্যের একাধিক জায়গায় অভিযানে যায় সিবিআই। এরমধ্যে মুর্শিদাবাদের ডোমকলের বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়িও ছিল। সূত্রের খবর, এই জাফিকুল নাকি নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ। জাফিকুলের নাকি বিএড, ডি.এল.ইডি কলেজও রয়েছে বলে সূত্রের খবর।
যদিও তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলাম বলেন, “নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এসেছেন ওনারা। অথচ এরসঙ্গে কোনওদিনই আমার কোনও যোগ নেই। আমাদের একটা সম্পত্তি বিক্রি হয়েছে চারদিন আগে। ২৪ লক্ষ টাকার। দলিলটাও আছে।”
এদিকে বিজেপি সাংসদ তথা দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই অভিযান প্রসঙ্গে বলেন, “সিবিআইয়ের কাছে সব তথ্য আছে। মুর্শিদাবাদ থেকে চক্র চলে। চাকরির চক্র, বাংলাদেশ থেকে নাগরিকত্ব দেওয়ার চক্র চলে।” পাল্টা তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের বক্তব্য, “কেন টাকাটা তাঁর কাছে আছে তা সামনে না এনে শুধু তাঁর কাছে টাকা আছে বলে একটা রটিয়ে দিয়ে বদনাম করার চিত্রনাট্যের অংশ।”