CID Probe Recruitment Scam: এজেন্সির নজরে স্কুল, আচমকা ইস্তফা শিক্ষক-ক্লার্কের…
Murshidabad: স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারির নামে অভিযোগ ওঠে নথি জাল করে তিনি ছেলেকে স্কুলে চাকরি দেন। সিআইডি তার তদন্ত শুরু করে। সেই ঘটনায় আশিস ও তাঁর ছেলে অনিমেষ তিওয়ারি গ্রেফতার হন। জামিনে আছেন তাঁরা। প্রাক্তন ডিআইকেও গ্রেফতার করা হয়। সূত্রের খবর, এই নিয়োগকাণ্ডে ওই শিক্ষক ও ওই করণিককে সিআইডি জিজ্ঞাসাবাদ করে।
মুর্শিদাবাদ: আবারও শিরোনামে সুতির গোঠা এ. রহমান হাইস্কুল (উচ্চমাধ্যমিক)। ভুয়ো শিক্ষক নিয়োগে নাম জড়িয়ে এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও তাঁর ছেলে গ্রেফতার হন। এবার আচমকাই সেই স্কুলের এক শিক্ষক ও করণিকের ইস্তফা ঘিরে ধোঁয়াশা। শিক্ষক নিয়মিত স্কুলে আসতেন, তবে ওই করণিক এক বছর ধরে নানা কারণে ছুটিতে ছিলেন বলে অভিযোগ। সহশিক্ষক আবদুল রাকিব ও করণিক আবদুর রাহিদের ইস্তফা ঘিরে জোর জল্পনা।
টিচার-ইনচার্জ মইদুল ইসলাম বলেন, “একজন সহশিক্ষক, একজন ক্লার্ক ইস্তফা দিয়েছেন। তাঁরা ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন। ৭ হাজার পড়ুয়া আমাদের। অথচ একজন ক্লার্ক ছিলেন। যদিও তিনি এক বছর ধরে স্কুলে আসছিলেন না। এরমধ্যে হঠাৎ রিজাইন করলেন। তবে ওই স্যর আসতেন। বুঝলাম না ইস্তফা কেন দিলেন?”
স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারির নামে অভিযোগ ওঠে নথি জাল করে তিনি ছেলেকে স্কুলে চাকরি দেন। সিআইডি তার তদন্ত শুরু করে। সেই ঘটনায় আশিস ও তাঁর ছেলে অনিমেষ তিওয়ারি গ্রেফতার হন। জামিনে আছেন তাঁরা। প্রাক্তন ডিআইকেও গ্রেফতার করা হয়। সূত্রের খবর, এই নিয়োগকাণ্ডে ওই শিক্ষক ও ওই করণিককে সিআইডি জিজ্ঞাসাবাদ করে।
২০১১ সালে সুতির শেরপুরের বাসিন্দা আব্দুর রাকিব এই স্কুলে কাজে যোগ দেন। করণিক আব্দুর রাহিদ কাজে যোগ দেন পরের বছর, ২০১২ সালে। তিনি সুতির সোদপুরের বাসিন্দা। দু’জনের কারও সঙ্গেই যোগাযোগ করা যায়নি। রাহিদের বাড়িতে গেলেও তাঁর দেখা মেলেনি। তাঁর বাবা জানান, ছেলে বাড়িতে নেই। আব্দুল রাকিবের বাড়িতে গিয়েও একই উত্তর মেলে। জেলা স্কুল পরিদর্শক জানান, স্কুলের কাছ থেকে তাঁরা জানতে পেরেছেন এই স্কুলের শিক্ষক এবং করণিক ইস্তফা দিয়েছেন। তবে কী কারণে এই ইস্তফা খোঁজ নিয়ে দেখছেন।