Murshidabad: এখনও কাটল না জোটের ‘জট’! পুরভোটে হাত-কাস্তের লড়াই নিয়ে ক্রমশ বাড়ছে জল্পনা

মুর্শিদাবাদ:বিধানসভা ভোটের মতো আসন্ন পুরভোটেও কি একসঙ্গে লড়বে বাম-কংগ্রেসের জোট (Left-Congress Allaince)? বামেদের সঙ্গে কি থাকবে আব্বাস সিদ্দিকির আইএসএফ (ISF)? নাকি উপনির্বাচনের মতো পৃথকভাবে লড়াই করবে বাম-কংগ্রেস? পুরো ভেটের দিন যত এগিয়ে আসছে এই সকল প্রশ্নের উত্তর নিয়ে কৌতূহল বাড়ছে।

আজ জেলায় সাংবাদিক বৈঠক করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Chaudhury)। সামনে পুরোভোটে জোট থাকবে কিনা সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা ২০১৬ সালে জোট করি। সেই জোট কিন্তু ভাঙিনি। তখনও ভোটের পর সিপিএম পার্টি বলেছিল আমরা একা লড়ব। আবার ২০২১ সালে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন শুরু হয়েছিল আমরা দেখতে পেয়েছি। একুশের পর আবার তারা থাকবে কি থাকবে না তা পরে আলোচনা হবে। এই ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত একবারও আমরা বলিনি যে আমরা জোট ভেঙে দিলাম। যারা জোট ভাঙছে বা গড়ছে তাদের কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করুন। আমরা জোট ভাঙিনি। তাই জোট থাকছে কিনা তাই নিয়ে আমাদের কাছে প্রশ্ন করাই অর্থহীন।”

এদিকে, বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু জানিয়েছেন, যেহেতু জোট কখনও ভাঙা হয়নি, তাই পুরভোটে জোট রাখা হবে কি না তা বৈঠকের পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যদিও বাম শিবিরের অন্দরে খবর, উপনির্বাচনে পৃথক ভাবে প্রার্থী দিয়ে ভোট শতাংশ বাড়লেও কিছু জায়গায় কমেছে। সেদিক থেকে জোটের সিদ্ধান্ত সদর্থক হতে পারে বলেই মত বাম শিবিরের একাংশের। যদিও তা পুরোটাই নির্ভর করছে শীর্ষ নেতৃত্বের উপর।

মঙ্গলবার সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠক। পুরসভা নির্বাচনে দলের অবস্থান কী হবে? কংগ্রেসের সঙ্গে জোট কতটা করা যাবে? জোট হলে কোন ফর্মুলায় তা হবে? সব আসনে প্রার্থী দেওয়া না কি বাছাই করা আসনে প্রাথী দেওয়া হবে? উপনির্বাচনের ফল- এই সব একাধিক ইস্যুতে আলোচনা হবে বলে সূত্রের খবর।

অন্যদিকে, কংগ্রেসের তরফেও খুব শিগগির হতে পারে বৈঠক। জোটের ভবিষ্যত নিয়েও হতে পারে আলোচনা। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে কার্যত নিজ গড়ে ঘর হারিয়েছে কংগ্রেস। জোটের ‘অপরিণামদর্শীতা’-ই এর কারণ বলে দাবি করেছিলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কংগ্রেসের অন্দরের খবর, এখনও অবধি জোটের পক্ষেই সওয়াল করছেন দলীয় কর্মীদের একাংশ।

প্রসঙ্গত, উনির্বাচনে হার হলেও মোটের ওপর ভাল ফল করেছে বাম-কংগ্রেস। মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে গত মাসের ভোটে কংগ্রেস পেয়েছিল ৩৭ শতাংশ ভোট। শান্তিপুরে সিপিএম পেয়েছে ২০ শতাংশ ভোট। উল্লেখ্য এই দুটি আসনেই জোট ছিল না। একে অপরের বিরুদ্ধে প্রার্থীও দিয়েছিল। রাজনৈতিক মহলে অবশ্য এই নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছিল।

আরও পড়ুন: Kolkata Metro: সোম থেকে আরও সকাল সকাল পাবেন প্রথম মেট্রো