
মুর্শিদাবাদ: SIR-এ নাম আনম্যাচ নোটিস আসতেই আতঙ্কে মৃত্যু। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদে হরিহরপাড়ায়। পুলিশ জানিয়েছে, নিমাই মাল (৪৪)। পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, আন ম্যাচ নোটিস আসার পরই হঠাৎই বুকে ব্যথা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় নিমাইয়ের। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। নিমাইয়ের বাড়ি মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার অন্তর্গত কাশিমনগর গ্রামে।
এসআইআর আবহে রাজ্যে একাধিক মৃত্যুর খবর এসেছে। পরিবার ও শাসকদলের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, আতঙ্কেই মৃত্যু, কিংবা আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন অনেকে। কিন্তু নাম আন ম্যাচ করাতে মৃত্যুর খবর সেভাবে শোনা যায়নি। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এসআইআর নিয়ে নিমাইয়ের মধ্যে কোনও চিন্তা ছিল না। ঠিক ভাবেই ফর্ম ফিলআপ করেছিলেন তিনি। তাঁর কাছে সমস্ত নথিও ছিল। সে সমস্ত নথিও তিনি দিয়েছিলেন। খসড়া তালিকায় তাঁর নামও ছিল।
কিন্তু তাঁর কাছে বিএলও-র তরফ থেকে ফোন আসে। পরিবারের দাবি, ফোনে জানানো হয়, নিমাইয়ের বাবার সঙ্গে তাঁর নাম মিলছে না। তাই তাঁকে যেতে বলা হয়েছিল। পরিবারের অভিযোগ, এরপরই নিমাইয়ের আতঙ্কে বুকে ব্যথা শুরু হয়ে যায়। নিমাই মালের বাবার নাম শ্যামলাল রাই। বাবা নামের পদবির সঙ্গে নিমাই মালের পদবি মিল না থাকায় নোটিস আসতেই আতঙ্কে শুক্রবার দুপুরে মৃত্যু হয় বলে দাবি পরিবারের। নিমাইয়ের বাবার নাম ২০০২ সালের তালিকাতেও ছিল। কিন্তু নিমাইয়ের নাম ছিল না।
পঞ্চায়েত প্রধান নাজমুক হক বলেন, “আমি খবরটা শোনা মাত্রই আসি। খুবই দুঃখজনক ঘটনা। নিমাইয়ের বাবার নামও ছিল তালিকায়। শুনলাম বাবার নামের পদবির সঙ্গে ওর পদবির মিল হয়নি, তাই নোটিস এসেছিল।”
বিএলও মুরতাবুল শেখ বলেন, “নিমাই মাল ১৩২ পার্টের ভোটার। ২০২০ সালে নাম ছিল, ২০০২ সালে ছিল না। ১৩২ পার্টের নামে ১২ জন বাবার নামে মিল আসেনি। আমি নিমাইয়ের বাড়িতে খবর দিই। ওরা তো আদিবাসী। ওদের কাছে কাগজপত্র নেই। আমাকে ফোনও করে। আমি বলেছিলাম, যা কাগজ আসে নিয়ে আসতে। এটা নিয়েই চিন্তা করি।”