সাগরদীঘি: চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ এ রাজ্যে নতুন নয়। এবার এক মহিলার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সাগরদীঘি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল চত্বরে। মৃত মহিলার নাম তামেশা খাতুন। তাঁর বাড়ি সাগরদীঘির বয়াড় গ্রামে। মৃত মহিলার পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ ভুল চিকিৎসার জন্য মৃত্যু হয়েছে তাঁর। সূত্রের খবর, সোমবার দুপুরে জ্বর নিয়ে হাসাপাতালে ভর্তি করা হয় ওই মহিলাকে। শুরু হয় চিকিৎসা। দেওয়া হয় ইঞ্জেকশন।
পরিবারের সদস্যদের দাবি, ইনঞ্জেকশন দেওয়ার পরই দ্রুত অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে তামেশা খাতুনের। শেষে তিনি মৃত্যুমুখে ঢোলে পড়েন। এরপরেই সাগরদীঘি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান মৃত মহিলার পরিবারের সদস্যরা। খবর গিয়েছিল পুলিশেও। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সাগরদীঘি থানার পুলিশ। তবে ঠিক কারণে ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট। তবে তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকাজুড়েই।
ঘটনা প্রসঙ্গে মৃতার এক আত্মীয় বলেন, “জ্বর হয়েছিল ওর। সে কারণেই প্রথমে গ্রামের ডক্তারের কাছেও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ওখানেই মাথা ঘুরে পড়ে যায়। এরপরেই টোটোতে করে হাসাপাতালে নিয়ে আসা হয়। স্যালাইন দেওয়ার পাশাপাশি হাতে আরও ইনঞ্জেকশন দেওয়া হয়। ইঞ্জেকশন দেওয়ার ২-৩ মিনিটের মধ্যেই ও মারা যায়। তখন ডাক্তাররা ওর বাবাকে বলে ও বিষ খেয়েছিল। কিন্তু ও বিষ খায়নি। শুধু জ্বর হয়েছিল। এদিকে এই ঘটনার পরই থানাতেও ময়নাতদন্তের জন্য জানিয়ে দেয় হাসপাতালের তরফে। আমাদের ধারনা ডাক্তাররা ভুল ইনঞ্জিকেশন দেওয়ার জন্য ওর মৃত্যু হয়েছে। আমরা ডাক্তারের শাস্তি চাইছি।”