
নয়াদিল্লি: দিল্লির বিস্ফোরণে বাংলা হয়েছিল ট্রানজিট রুট? তদন্তকারীদের দেওয়া তথ্যে উঠে এল সেই প্রসঙ্গই। মুর্শিদাবাদ হয়েই ফরিদাবাদে পৌঁছেছিল বিপুল বিস্ফোরক। আর এই ‘ডেলিভারির’ কাজটা করেছিল ইখতিয়ার নামে এক দুষ্কৃতী। তাঁর নাম, পরিচয় পেলেও, সন্দেহভাজনের টিকি খুঁজে পাচ্ছেন না তদন্তকারীরা।
দিল্লির বিস্ফোরণে-কাণ্ডে পাকিস্তানের জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের যোগসাজোশ অনেকটাই স্পষ্ট। লখনউ থেকে ধৃত শাহিন হোক বা ফরিদাবাদ থেকে ধৃত মুজাম্মিল কিংবা শ্রীনগর থেকে ধৃত আদিল। এঁদের প্রত্যেকের সঙ্গেই জইশ-যোগ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। মিলেছে দেশের অন্দরে গড়ে ওঠা জইশ-নেটওয়ার্কের হদিশ। তবে এখনও ব্যাপারটা যে চূড়ান্ত, এমন নয়। একটু ভাসা-ভাসা।
এবার সেই আবহেই দিল্লির নাশকতার ঘটনায় জুড়ে গেল বাংলাদেশ। তা হলে কি ভারতবিরোধিতায় এক জোট হয়েছে দুই দেশের সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলি? উত্তর এখনও অধরা। তবে একটা আভাস পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, দিল্লি-কাণ্ডে বাংলাদেশ থেকে মুর্শিদাবাদ সীমান্ত হয়ে ভারতে ঢোকানো হয় বিপুল বিস্ফোরক। মুর্শিদাবাদে ইখতিয়ার নামে এক পলাতক দুষ্কৃতীর মদতেই হয়েছে পাচার কাজ। ভারতে সেই বিস্ফোরক এনে নিজের ‘সেফ হাউসেই’ রেখেছিলেন ইখতিয়ার। তারপর তা তুলে দিয়েছিলেন উমর-মুজাম্মিলদের হাতে। বলে রাখা প্রয়োজন, এই ইখতিয়ার কোনও সাধারণ দুষ্কৃতী নন। নিজের দেশেও তাঁর কীর্তির অভাব নেই। বাংলাদেশের এক গোয়েন্দাকে খুন করেই বাংলার মুর্শিবাদেই নিজের ‘সেফ হাউস’ তৈরির অভিযোগ রয়েছে ইখতিয়ারের বিরুদ্ধে।
দিল্লির বিস্ফোরণ-কাণ্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সামান্য যোগ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সূ্ত্রের খবর, বিস্ফোরণের আগে পাকিস্তানের জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবার শীর্ষ কমান্ডর সইফুল্লা সইফের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ইউনূস প্রশাসনের বেশ কয়েকজন কর্তা। ভার্চুয়ালি জুড়ে যায় পাকিস্তান-বাংলাদেশ। অনুমান, সেখান থেকে তৈরি হয় দিল্লি নাশকতার ছক। তবে এই তথ্য যে একেবারে নিশ্চিত, এমনটাও জানাচ্ছেন না তদন্তকারীরা। এই পর্বে ঢাকার সঙ্গে পাকিস্তানের তৈরি হওয়া সমস্ত ইন্টারলিঙ্ক খতিয়ে দেখছে তাঁরা।