মুর্শিদাবাদ: ইংরেজির শিক্ষক। তবে অঙ্কেও সমান দক্ষ। আর এবার অঙ্কের বই লিখে ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডে নাম তুলে ফেলেছেন সেই ইংরেজির শিক্ষক। কথা হচ্ছে মুর্শিদাবাদের ডোমকলের আমিনাবাদ এলাকার বাসিন্দা জিল্লার রহমানকে নিয়ে। তিনি এখন রানিনগরের রামনগর হাই মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। ইংরেজির সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। স্কুলে যাওয়া-আসা, ক্লাস নেওয়ার ফাঁকে অঙ্কের একটা বই লিখে ফেলেছেন তিনি। ইউনিভার্সাল কম্পিটিটিভ ম্যাথ। ৭১০ পাতার বই। সেই বই-এর জন্যই এবার ২০২৩ সালের ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডে নাম তুলে ফেললেন রামনগর হাই মাদ্রাসার ইংরেজির শিক্ষক জিল্লার রহমান।
পড়ুয়াদের ইংরেজির ক্লাস নেওয়ার পাশাপাশি অঙ্কের প্রতিও তাঁর সমান টান রয়েছে। মাঝে মধ্যে পড়ুয়াদের অঙ্কও করান তিনি। এছাড়া প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্যও পড়ুয়াদের প্রস্তুত করতে বিভিন্ন টিপস দিয়ে থাকেন রামনগর হাই মাদ্রাসার ওই শিক্ষক। জানাচ্ছেন, তাঁর স্নাতক স্তরের পড়াশোনায় ইংরেজির পাশাপাশি অর্থনীতি নিয়েও পড়াশোনা করেছেন। বিএড, এমএড-এও অঙ্ক ছিল। স্কুলের সময় থেকেই অঙ্কের প্রতি আলাদা টান রয়েছে তাঁর। অঙ্কের অনেক শর্টকাট ট্রিক রপ্ত করেছেন নিজে। এবার সেই সব ট্রিকগুলিকে নিয়েই লিখে ফেলেছেন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতির আস্ত একটা বই। তিন বছর ধরে এই বইটি লিখেছেন তিনি। নিজে যে অঙ্কের শর্টকাটগুলি রপ্ত করেছেন, সেগুলি এবার সব পড়ুয়াদের কাছে পৌঁছে দিতে চান জিল্লার রহমান।
বইটি প্রকাশিত হওয়ার পর শুরুর দিকে তিনি এই ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডের জন্য আবেদন করেননি অবশ্য। বিষয়টি সেই সময় তাঁর মাথায় আসেনি। মাস্টারমশাইয়ের এক আত্মীয়ই তাঁকে জানান ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডের কথা। বলেন, এই বইটির জন্য ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডে আবেদন করতে। সেই মতো তিনি আবেদন করেন। এরপর সম্প্রতি গত ১২ সেপ্টেম্বর তাঁর নাম জায়গা পায় ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডে। পেয়েছেন একটি মেডেল ও শংসাপত্রও।