Extramarital affair : বৌদি হাসিনার ফোনেই ছেড়ে ছিল বাড়়ি, ৭ বছর পর বাথরুমের চেম্বার থেকে উদ্ধার লালনের দেহ

Extramarital affair : বর্তমানে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে ডোমকল থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, পুলিশি জেরায় তাঁরা খুনের (Murder) কথা স্বীকার করেছেন।

Extramarital affair : বৌদি হাসিনার ফোনেই ছেড়ে ছিল বাড়়ি, ৭ বছর পর বাথরুমের চেম্বার থেকে উদ্ধার লালনের দেহ
হাসিনা-বিজেশের ফাঁসির দাবিতে সরব মৃত লালনের বোন পারভিনা খাতুন

| Edited By: জয়দীপ দাস

Feb 14, 2023 | 2:03 PM

ডোমকল : বৌদির সঙ্গে চলছিল পরকীয়ার সম্পর্ক (Extramarital affair)। দাদা না থাকলে প্রায়শই বৌদির টানে তাঁর বাড়িতে ছুটে যেত দেওর। যদিও কিছুদিনের মধ্যে তাঁদের সম্পর্কের কথা জানাজানিও হয়ে গিয়েছিল। এরইমধ্যে আচমকা একদিন গায়েব হয়ে যান ডোমকলের বালিপাড়ার বাসিন্দা রোসপিয়ার মল্লিক ওরফে লালন শেখ। তারপর থেকে কেটে গিয়েছে ৭ বছরের বেশি সময়। যদিও আর খোঁজ মেলেনি ওই যুবকের। ছেলের খোঁজে ডোমকল (Domkal) থানার দ্বারস্থ হয়েছিলেন মা ফিরোজা বিবি। তাঁর সন্দেহ, ছেলে হারিয়ে যাওয়ার পিছনে হাত রয়েছে লালনের বৌদি হাসিনা বিবি (৩০) ও তাঁর স্বামী বিজেশের। এ কথা তিনি জানিয়েছিলেন পুলিশকে। যদিও তাঁর অভিযোগ, সাত বছর আগে অভিযোগ জানানোর পরে পুলিশ সদর্থক কোনও পদক্ষেপ নেননি। কিন্তু, আচমকা কেন এই ঘটনা এতদিন পর সামনে এল?

বর্তমানে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে ডোমকল থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, পুলিশি জেরায় তাঁরা খুনের কথা স্বীকার করেছেন। এমনকী কীভাবে খুন করা হয়েছিল লালনকে তাও চাপের মুখে জানিয়েছেন  হাসিনা-বিজেশে। সূত্রের খবর, বছর সাতেক আচমকা একদিন লালনের কাছে ফোন আসে হাসিনার। তারপরই হাসিনার বাড়ি ছুটে যায় লালন। তারপর থেকেই আর মেলেনি খোঁজ। সূত্রের খবর, পুলিশি জেরায় হাসিনা ও বিজেশ জানিয়েছে তাঁদের বাড়িতেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুন করা হয়েছিল লালনকে। এরপর দেহ বাথরুমের চেম্বারে ভরে রাখা হয়েছিল। সম্প্রতি ঝড়-বৃষ্টিতে চেম্বারটির ভেঙে গেলে সেখান থেকে লালনের দেহ তুলে ফের তা বাড়ির পিছনের লেবু বাগানে পুঁতে দেওয়া হয়। বর্তমানে সেখান থেকেই লালনের দেহ উদ্ধারের কাজ শুরু করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বালিপাড়া এলাকায়। ইতিমধ্যে হাসিনা-বিজেশের ফাঁসির দাবিতে সরব হয়েছে মৃত লালনের পরিবারের সদস্যরা।  

ঘটনা প্রসঙ্গে মৃত লালনের বোন পারভিনা খাতুন বলেন, “বিজেশ-হাসিনাই খুন করেছে আমার ভাইকে। গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করেছিল। তারপর পাঁচ বছর ধরে বাথরুমের চেম্বারে ভরে রেখেছিল ভাইয়ের দেহ। পুলিশের কাছে ওরা নিজেরাই স্বীকার করেছে। পুৃলিশ গ্রেফতার করার পরেই ওরা এগুলো বলেছে। আমর তারপরই জানতে পেরেছে কীভাবে মেরেছে। তবে হাসিনার শুধু বিজেশ বা আমার ভাইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল এমন নয়। আরও অনেকের সঙ্গেই ছিল। আমরা পুলিশকে সব জানিয়েও ছিলাম। আমরা ওই দুজনের ফাঁসি চাইছি।”