Congress: রাহুল গান্ধী আসার আগে অধীর-গড়ে কংগ্রেসে ভাঙন, দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ
BJP: ফতেমা বিবি নামে এক মহিলা এদিন বিজেপিতে যোগ দেন। তিনিও ললিতপুর বুথ থেকে পঞ্চায়েত ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। ফতেমার কথায়, "সিপিএমের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিলাম। বাঁচতে তো হবে। তৃণমূল ওখানে ছাপ্পা দিয়ে ভোট করিয়েছে। এখন আমাদের কেস দিচ্ছে।"

মুর্শিদাবাদ: অধীর চৌধুরীর মুর্শিদাবাদে ন্যায় যাত্রা করতে আসছেন রাহুল গান্ধী। রাহুলের সেই মিছিল মুর্শিদাবাদে ঢোকার আগেই হোঁচট খেল কংগ্রেস। দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন বেশ কয়েকজন কংগ্রেস কর্মী। সোমবার হরিহরপাড়ায় কংগ্রেসে ভাঙন হয়। কংগ্রেসের গ্রামপঞ্চায়েতের ২ সদস্য বিজেপিতে যোগদান করেন বলে দাবি করা হয় বিজেপির তরফে। এদিন হরিহরপাড়ার চোয়া গ্রামপঞ্চায়েতের পাঁচগাছি শিবনগর এলাকায় বিজেপির এই যোগদান কর্মসূচি হয়। কংগ্রেসের ২ জন গ্রামপঞ্চায়েত সদস্যের সঙ্গে প্রায় ৪০০টি পরিবার এদিন হাত ছেড়ে পদ্মশিবিরে যোগ দেয়। সিপিএম ও কংগ্রেস থেকে এসেছে সেই পরিবারগুলি।
বিজেপি নেতা তন্ময় বিশ্বাসের হাত ধরে এই যোগদান হয়। কংগ্রেসের দুই পঞ্চায়েত সদস্য আব্দুস সামাদ ও দিবস মণ্ডল যোগ দেন বিজেপিতে। কংগ্রেসত্যাগীদের অভিযোগ, দল তাঁদের গুরুত্ব দিচ্ছে না বলেই এই সিদ্ধান্ত। বিজেপি নেতা তন্ময় বিশ্বাসও বলেন, এই যোগদানে লোকসভা ভোটের আগে কিছুটা হলেও তাঁদের সংগঠনের শক্তি বৃদ্ধি হল।
তন্ময় বিশ্বাসের কথায়, “সিপিএম এবং কংগ্রেস থেকে আমাদের এখানে ৪০০ পরিবার যোগ দিল। শিবনগর বুথের কংগ্রেস পঞ্চায়েত সদস্য দিবস মণ্ডল ও আব্দুস সামাদ যোগ দিলেন। হরিহরপাড়ার অবস্থা সকলেই জানেন। এখানে তৃণমূল ছাড়া যে সে-ই দল করুন না কেন, তাদের কেউ নিরাপত্তা দিতে পারেনি। দলের নেতৃত্ব তাঁদের পাশে থাকেনি। কোনও সাপোর্ট দেয়নি। মিথ্যা মামলায় পুলিশ ফাঁসালেও দল কোনও প্রতিবাদ করেনি। সিপিএমেরও একই অবস্থা। তবে আমাদের বিজেপির কাউকে কেস দেওয়া তো দূর, কেস দেওয়ার কথাও ভাবতে পারে না। কারণ তন্ময় বিশ্বাস ছেড়ে দেবে না ওরা জানে।”
ফতেমা বিবি নামে এক মহিলা এদিন বিজেপিতে যোগ দেন। তিনিও ললিতপুর বুথ থেকে পঞ্চায়েত ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। ফতেমার কথায়, “সিপিএমের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিলাম। বাঁচতে তো হবে। তৃণমূল ওখানে ছাপ্পা দিয়ে ভোট করিয়েছে। এখন আমাদের কেস দিচ্ছে।”
হরিহরপাড়া ব্লক কংগ্রেস সভাপতি জাহাঙ্গির শেখ অবশ্য বলেন, “কংগ্রেসের টিকিটে জিতে দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকা করল। কারণ, কংগ্রেসের কাছে চাওয়া পাওয়ার বিষয় বলে কী হবে। আমরা তো পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় নেই। মানুষের সঙ্গে আমরা সবসময়ই থাকি আছি থাকব। কিন্তু ওনাদের যে চিন্তাভাবনা টাকার কাছে আত্মসমর্পণ করার সমান।”
