
কলকাতা: তৃণমূলের বিজয় মিছিল থেকে বোমা ছোড়ার অভিযোগ। প্রাণ গিয়েছিল ছোট্ট তামান্নার। এই ঘটনার পরেই মৃতের পরিবারের কাছে ক্ষতিপূরণ নিয়ে হাজির হয়েছিলেন ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তবে পরিবার সেই টাকা ফেরাতেই শুরু বিতর্ক। এমনকী, দলও শোকজ করে তাঁকে। আজ এই নিয়েই মন্তব্য করেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তিনি বললেন, “কালীগঞ্জের গ্রামে আমি চাইলে যেতে পারতাম। তবে স্পর্শ কাতর ঘটনার জন্য যাইনি।”
আজ হুমায়ুন বলেন, “দল শোকজ করেছে। নিশ্চয় শোকজের উত্তর দেবে। দলের ডিসিপ্লিনারি কমিটি নিশ্চয়ই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। উনি বিধায়ক। অথচ উনি বলছেন আমি দলের তরফে আসিনি, অরাজনৈতিক সংস্থা চালাই সেখান থেকেই এসেছি। কিন্তু প্রথমে তো উনি বিধায়ক। আর উনি ডেবরার বিধায়ক। হঠাৎ করে কালীগঞ্জ চলে গেলেন। পলাশী থেকে আমার বাড়ির দূরত্ব কম। গঙ্গার এপাড়-ওপাড়। আমি তো যেতে পারতাম। কেন যাইনি? এটা তো স্পর্শকাতর ঘটনা।”
প্রসঙ্গত, কালীগঞ্জ বিধানসভায় বিপুল ভোটে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী আলিফা আহমেদ। প্রায় ৫০ হাজারের মার্জিনে লিড ছিল তাঁর। সেই ফলাফলেই আনন্দে আত্মহারা হয়ে যান তৃণমূল কর্মীরা। বিজয়োল্লাসে ফেটে পড়েন তাঁরা। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রায় ৪০ থেকে ৫০টি বোমা ছোড়া হয়েছিল। তামান্নার বাড়ি লক্ষ্য করেও ছোড়া হয় বোমা। তাতেই মৃত্য়ু। সেই তামান্নার বাড়িতেই একদিন আগে গিয়েছিলেন হুমায়ুন। কিন্তু কেন দলকে না জানিয়ে তিনি এই পদক্ষেপ কেন করবেন? প্রশ্ন তুলে শোকজ করা হয় ডেবরার বিধায়ককে।