
বীরভূম: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক শেষের পর ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হাসি মুখে বেরিয়ে হেয়ালি করে বলেছিলেন, “বৃক্ষ তোমার নাম কী, ফলে পরিচয়।” তবে খানিকবাদে সূত্র মারফত জানা যায়, অভিষেক নাকি ভর্ৎসনা করেছেন হুমায়ুনকে। রবিবার এই দাবিই উড়িয়ে দিলেন ভরতপুরের বিধায়ক। সবটা অপপ্রচার বললেন তিনি।
দলের সুপ্রিমো থেকে সাধারণ সম্পাদক, বারেবারে বলেছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা যেন সংযত হন। কোনও রকম কটুকথা বলার থেকে বিরত থাকেন। তবে, আবদুর রহিম বক্সী থেকে সাবিত্রী মিত্র, কুমন্তব্য করতে শোনা যাচ্ছে। সেই নিয়েই প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে হুমায়ুন নিজের প্রসঙ্গ তোলেন।
হুমায়ুন বলেন, “১১ তারিখ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে নাকি চমকেছেন ধমকেছেন,আমি নাকি চমকে গিয়েছি,আমি ভয় পেয়ে গিয়েছি। এইসব অপপ্রচার চলছে। আমি অন্যায় করি না। মাথা নত করে পিছুও হঠি না। আমি ন্যায়ের পক্ষে থাকি। ন্যায়ের পক্ষ থেকে রাজনীতি করে যাব। আমার জেলার ভুঁইফোড় নেতারা অপপ্রচার করে বেড়াচ্ছে। যাঁদের নিজেদের অস্তিত্ব নেই, অন্যের ক্ষমতায় ক্ষমতা দেখিয়ে বেড়ায়। সেইসব নেতাদের ব্যাখ্যার উত্তর দেওয়ার কোনও দরকার নেই। পাগলে কি না বলে ছাগলে কি না খায়।” বস্তুত, হুমায়ুনের সঙ্গে বৈঠকের পর সূত্র মারফত জানা যায়, অভিষেক নাকি হুমায়ুনকে বলেছেন, ‘আপনি সবকিছু নিয়ে কথা বলেন। দলকে বিড়ম্বনায় ফেলেন। আপনাকে বারণ করা সত্ত্বেও আপনি একই কাজ করে যান।” দলের নেতাদের এদিন মুখ খুলতে নিষেধও করেছেন অভিষেক। সেই নিয়েই আজ উত্তর দিলেন তৃণমূল নেতা।