Insect in Syrup: খাবারে কেঁচোর পর, হাসপাতালের দেওয়া সিরাপের ভিতর পোকা! কাঠগড়ায় সরকারি হাসপাতাল

TV9 Bangla Digital | Edited By: অংশুমান গোস্বামী

Jun 17, 2022 | 8:22 PM

Jangipur SD Hospital: হাসপাতাল থেকেই দিয়ে দেওয়া হয় ওষুধ। বাড়ি ফিরে সেই ওষুধ খাওয়াতেই গিয়েই চোখ কপালে ওঠে রোগীর পরিবারের লোকেদের।

Insect in Syrup: খাবারে কেঁচোর পর, হাসপাতালের দেওয়া সিরাপের ভিতর পোকা! কাঠগড়ায় সরকারি হাসপাতাল
সিরাপের মধ্যে পোকা

Follow Us

জঙ্গিপুর: মাথায় আঘাত লেগে বমি হচ্ছিল এক কিশোরের। চিকিৎসার জন্য তাকে নিয়ে  জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে গিয়েছিলেন পরিবারের লোকেরা। আউটডোরের চিকিৎসক একটি সিরাপ খাওয়ার জন্য দেয়। পরের দিন এসে সিটি স্ক্যান করতে বলে। হাসপাতাল থেকেই দিয়ে দেওয়া হয় ওষুধ। বাড়ি ফিরে সেই ওষুধ খাওয়াতেই গিয়েই চোখ কপালে ওঠে রোগীর পরিবারের লোকেদের। সিরাপ ঢালতেই তার ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে পোকা। পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, সিরাপের মধ্যে মাকড়সার বাচ্চা ছিল। এর পর বিষয়টি নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে রোগীর পরিবার। প্রসঙ্গত, সপ্তাহ দুয়েক আগেই জলপাইগুড়ি জেলা সদর হাসপাতালে শিশু বিভাগে রোগীর খাবারে মিলেছিল কেঁচো। যা নিয়ে ব্যাপক হইচই হয়েছিল। সেই ঘটনার তদন্তের নির্দেশও দেয় স্বাস্থ্য দফতর। তার পর সিরাপে পাওয়া গেল পোকা।

১৫ মে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালের আউটডোর বিভাগে মহম্মদ ফারহান সেখকে দেখাতে নিয়ে যায় তাঁর বাড়ির লোকেরা। বমির সমস্যা নিয়ে আউটডোরে দেখানোর পর তাঁকে দেওয়া হয় বেশ কয়েকটি ওষুধ। যার মধ্যে ছিল ওই সিরাপও। বাড়ি গিয়ে সিরাপটি খুললেই দেখা যায় তার মধ্যে রয়েছে পোকা। বাচ্চা মাকড়সা সিরাপের মধ্যে ছিল বলে দাবি রোগীর পরিবারের লোকেদের। শুক্রবার ঘটনা নিয়ে জঙ্গিপুর মহুকুমা হাসপাতালে সুপারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগে দায়ের করা হয়। রোগীর পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, “হাসপাতাল থেকে সিরাপ দিয়েছিল। সেই ওষুধ খাওয়াতে গিয়ে দেখি সিরাপের ভিতরে মাকড়সার বাচ্চা। আমরা সুপারকে জানিয়েছি। বিষয়টি দেখবে বলেছে। আমরা না হয় দেখতে পেয়েছি। কিন্তু পাড়াগ্রামের লোক না দেখে খাওয়ালে কী হয়। ওষুধটা তো বিষ হয়ে গিয়েছে।”

ঘটনা নিয়ে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার। বিষয়টি নিয়ে তিনি বলেছেন, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি আমার ঊধ্বর্তন কতৃপক্ষের কাছে জানাবো। যে কোম্পানি ওষুধ সাপ্লাই দেয় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করবো।“

জুন মাসের প্রথম সপ্তাহেই জলপাইগুড়ি জেলা সদর হাসপাতালের খাবারে মিলেছিল কেঁচো। হাসপাতাল থেকে খাবার সরবরাহ করা হয়েছিল সব বিভাগে। জানা গেছে, সে সময়ে শিশু বিভাগে ভর্তি থাকা এক বাচ্চার অভিভাবকের চোখে পড়ে খাবারের মধ্যে থাকা কেঁচোটি! এদিকে সেই একই খাবার অনেক চিকিৎসাধীন শিশু খেয়েও ফেলেছে তার আগে। তাই কেঁচোর খবর ছড়িয়ে পড়তেই অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন অনেকে। হাসপাতালের বাইরে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকেরা। ওয়ার্ড মাস্টারের ঘরে গিয়ে অভিযোগও জানান তাঁরা। ঘটনার জেরে পুলিশ এসে পৌঁছয়।

Next Article