
মুর্শিদাবাদ: রয়েছে রাজ্য পুলিশ। মোতায়েন করা হয়েছে বিএসএফ। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর মুর্শিদাবাদে পৌঁছেছে আধাসেনা। রবিবার সকালেই ডিজিপি রাজীব কুমার জানিয়েছেন, মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। পরিস্থিতির উন্নতি হলেও অনেকরকম গুজব ছড়াচ্ছে বলে সাধারণ মানুষকে সচেতন থাকার বার্তা দিয়েছিলেন জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার আনন্দ রাই। আর এই গুজব ছড়ানো রুখতেই এবার মুর্শিদাবাদের আরও কয়েকটি জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মুর্শিদাবাদের পাশাপাশি মালদহ এবং বীরভূমের কয়েকটি জায়গায়ও বন্ধ থাকছে ইন্টারনেট পরিষেবা।
রাজ্য প্রশাসনের তরফে এক নির্দেশে জানানো হয়েছে, গুজব ছড়ানো রুখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ (রবিবার) থেকে ১৫ এপ্রিল (মঙ্গলবার) রাত ১০টা পর্যন্ত আপাতত ওইসব এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ হলেও ফোনে কথা বলা যাবে। এবং এসএমএস পাঠানো যাবে। সংবাদপত্রও পৌঁছবে ওইসব এলাকায়। মালদহ ও বীরভূমে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, পদক্ষেপ না করলে এই দুটি জেলার সংশ্লিষ্ট জায়গাগুলিতেও গুজব ছড়াতে পারে। তাই আগাম সতর্কতা হিসেবে মালদহ ও বীরভূমের কিছু এলাকায়ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে কয়েকদিন ধরে উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ। গতকাল এই জেলায় পৌঁছেছেন ডিজিপি রাজীব কুমার। এদিন তিনি বলেন, “মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে।” জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার আনন্দ রাই বলেন, “পরিস্থিতি এখন অনেক ভাল আছে। একটাই অনুরোধ করব, কেউ গুজবে কান দেবেন না। অনেকরকম গুজব ছড়াচ্ছে। যদি কারও কোনও সন্দেহ থাকে, আমাদের কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করুন। আমরা ব্যাখ্যা দিয়ে দেব। কোনটা ঠিক, কোনটা ভুল।” এখনও পর্যন্ত ১৭০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।