
মুর্শিদাবাদ: বঙ্গ রাজনীতিতে এই মুহূর্তে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে তিনি। তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হওয়া। বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন। নতুন দল গঠনের ঘোষণা। সবমিলিয়ে তাঁর কর্মকাণ্ড নিয়ে রাজনৈতিক মহলে কাটাছেঁড়া চলছে। এর বাইরে ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের পরিবারের বিষয়ে খুব একটা খবর সামনে আসে না। হুমায়ুনের পরিবারে কে কে আছেন? হুমায়ুনের ছেলে-মেয়ে কী করেন?
আর কিছুদিন পরই ৬৩ বছর পূর্ণ করবেন হুমায়ুন। বেলডাঙা ২ মহকুমার নারকেলবাড়িতে তাঁর জন্ম। হুমায়ুনরা তিন ভাই ও দুই বোন। হুমায়ুন সবচেয়ে ছোট। তাঁর এক দিদি বছর দুয়েক আগে মারা গিয়েছেন। ভরতপুরের বিধায়কের বাবাও মারা গিয়েছেন অনেক দিন আগে। মা এখনও জীবিত।
হুমায়ুনের দুই দাদার মধ্যে একজন ব্যবসা করেন। অন্যজনের গ্রামে মুদির দোকান রয়েছে। নারকেলবাড়ির প্রবীণ ব্যক্তিরা বলছেন, হুমায়ুন সাধারণ পরিবারের ছেলে। প্রথম জীবনে ছোটখাটে ব্যবসা করতেন। একটা সাইকেলের দোকানও ছিল। ব্যবসা করার পাশাপাশি কংগ্রেস নেতা হিসেবে এলাকায় ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন হুমায়ুন। সাইকেলে করে গ্রামে গ্রামে যেতেন। পরে মোটরবাইক কেনেন। মোটরবাইক কিনলেও গ্রামে সংগঠনের কাজে সাইকেলে চেপেই যেতেন। ২০০৮ সালে প্রথমবার জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হন। কংগ্রেসের টিকিটে জেলা পরিষদ সদস্য হন তিনি।
হুমায়ুনের স্ত্রী মীরা সুলতানার নামে ব্যবসা রয়েছে। তাঁদের দুই ছেলে-মেয়ে। লালগোলায় এক ব্যবসায়ী পরিবারে মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন হুমায়ুন। আর তাঁর ছেলে গোলাম নবি আজাদ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ভরতপুরের বিধায়ককে তৃণমূল সাসপেন্ড করলেও গোলাম এখনও তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। তিনি তৃণমূল পরিচালিত বেলডাঙার দুই নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ। পাশাপাশি ব্যবসাও করেন। গোলাম বিবাহিত। তাঁর এক সন্তান রয়েছে।