
ধুলিয়ান: পাশে বসে জঙ্গিপুরে তৃণমূল সাংসদ খলিলুর রহমান, সাগরদিঘির তৃণমূল বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস, সামশেরগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক আমিরুল ইসলাম, রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ সামিরুল ইসলাম। তাঁদের পাশে বসেই পুলিশের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করে কেন্দ্র বাহিনীর স্থায়ী ক্যাম্পের দাবি জানালেন স্থানীয় মন্দির কমিটির ট্রাস্টি সদস্য ষষ্ঠীচরণ ঘোষ। তা নিয়েই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে চাপানউতোর।
স্পষ্ট কথায় ষষ্ঠীচরণ বললেন, “সামশেরগঞ্জের কাছে বাংলাদেশ। জঙ্গিরা বা মৌলবাদীরা এখানের ছোট ছোট শিশুদের ব্রেনওয়াশ করছে। তাই এখানে এই ধরনের হামলা হল। পুলিশ কী করেছে প্রত্যেকে জানে। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে থাকতে হবে। প্রশাসনের উচিত এখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর স্থায়ী ক্যাম্প করার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া।”
শুক্রবার ধুলিয়ান পুরসভা লাগোয়া মিলন মন্দিরের সামনে শান্তি বৈঠক ডাকা হয় স্থানীয় রাজনৈতিক দল এবং ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে। সেই বৈঠকে আচমকা এই দাবি ওঠায় তা নিয়েই শুরু হয়েছে চাপানউতোর। অস্বস্তিতে শাসকদলের সাংসদ থেকে বিধায়ক। সামশেরগঞ্জ এর বিধায়ক আমিরুল ইসলাম বলেন, “গণতান্ত্রিকভাবে প্রত্যেকেরই অধিকার আছে কিছু বলার। এখন আমরা এলাকার শান্তির বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছি। প্রশাসন যা দেখার দেখবে।” অন্যদিকে এদিনই আবার মুর্শিদাবাদের হিংসাদীর্ণ এলাকাগুলিতে যেতে দেখা যায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যদের। কথা বলেন আক্রান্তদের সঙ্গে। মালদহে ঘরছাড়াদের ক্যাম্পে যেতে দেখা যায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে।