
মুর্শিদাবাদ: গুজরাটে কাজ করতেন। কিন্তু সেখানে ধরপাকড়ের ভয়ে নিজেদের দেশের ফেরার চেষ্টায় ছিল আট বাংলাদেশি। আর সেই কাজের আগেই মুর্শিদাবাদে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেন তাঁরা। একই সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছে জামাল শেখ নামের এক ভারতীয় দালাল। জানা যাচ্ছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মুর্শিদাবাদ থানার পুলিশ গৌরিবাগ এলাকা থেকে একটি ট্রেকার আটক করেছে। আট বাংলাদেশি ও এক ভারতীয় দালাল, মোট ৯ জন ছিল ওই ট্রেকারে।
ধৃতদের মধ্যে মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম বাংলাদেশের রাজশাহির বাসিন্দ। ইদ্রিস শেখ, ফারজানা খাতুন ও জুলাইকা বিবি খুলনার বাসিন্দা। আনারুল শেখ নোরাইল জেলার বাসিন্দা। মিলন গাজি ও জেসমিন খাতুনের বাড়ি বাংলাদেশের সাতক্ষীরায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই আট বাংলাদেশি ওপার থেকে বেআইনি পথে ভারতে প্রবেশ করেছিল। তারপর মুর্শিদাবাদের রানিনগর থানা এলাকায় বেশ কিছুদিন বসবাস করে তারা। সেই সময় সেখান থেকে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড বা রেশন কার্ডের মতো বিভিন্ন জাল নথি তৈরি করায় তারা। তারপর পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে কাজ করার জন্য তারা চলে যায় গুজরাটে। কিন্তু গুজরাট, হরিয়ানা, রাজস্থানে সম্প্রতি প্রচুর বেআইনি অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি ধরা পড়ে। আর তাতে ভয় পেয়ে এই ৮ জন বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। ও গুজরাট থেকে পালিয়ে আসে মুর্শিদাবাদে।
মুর্শিদাবাদে ফিরে তারা বহরমপুরে লুকিয়ে ছিল বেশ কিছু দিন। তারপর গতকাল, ২৪ মে রাতে বহরমপুর থেকে একটি ট্রেকারে চেপে ওই ৮ বাংলাদেশি রওনা হয়েছিল রানিনগরের দিকে। আর সেই সময়ই ট্রেকার আটকে তল্লাশি করে পুলিশ। সেখান থেকেই গ্রেফতার হয় ওই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশিকারীরা। একই সঙ্গে গ্রেফতার হয় তাদের সঙ্গে থাকা ভারতীয় দালাল। পুলিশ সূত্রে খবর, রানিনগর থেকে ওই দালালের সাহায্যে বাংলাদেশে পালানোর ছক কষছিল তারা। জানা গিয়েছে, আজ লালবাগ মহকুমা আদালতে তোলা হবে তাদের। সেখানে তাদের ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করবে পুলিশ।