
মুর্শিদাবাদ: বেশ কয়েকমাস আগে থেকেই বাবরি মসজিদ তৈরির কথা বলে আসছেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। পরে শিলান্যাসের দিনক্ষণ নির্ধারণও করে দেন তিনি। আস্তে আস্তে দল তাঁর পাশ থেকে সরে যায়। এমনকী সাসপেন্ড করে দেয়। তারপরও বাবরি মসজিদ তৈরির সিদ্ধান্তে অনড় হুমায়ুন। আজ, শনিবার দুপুর ১২টায় শিলান্যাসের কথা জানিয়েছেন বিধায়ক। তার আগে হুমায়ুনকে সতর্ক করলেন তৃণমূলের অন্যতম সংখ্যালঘু নেতা সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।
শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে হুমায়ুনের পদক্ষেপের সমালোচনা করেন জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দ নেতা তথা রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। তাঁর দাবি, শুধুমাত্রা জেদের বশে এভাবে মসজিদ করা যায় না। সংখ্যালঘুদেরও এই মসজিদ নিয়ে সতর্ক করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, রাজনৈতিক কারণে কোনও মসজিদ করা ঠিক নয়।
সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, “আল্লার জন্য মসজিদ করা হলে ভবিষ্যৎ বলবে। হলে মসজিদই হবে, রাজনীতির আখড়া নয়।” সংখ্যালঘুদের সতর্ক করে সিদ্দিকুল্লা বলেন, “গা ভাসিয়ে দেবেন না। আইন যেন কেউ হাতে না নেয়। দলে আরও আগে ভাবা উচিৎ ছিল। দলকে ভাবতে হবে, পরে যেন কিছু না হয়।”
এদিকে, কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পর হুমায়ুনের কর্মসূচিতে আর কোনও বাধা নেই। হুমায়ুনও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, পুলিশ প্রশাসন বাধা দিলে তিনি এড়িয়ে যাবেন। রাজ্যের উপরেই নিরাপত্তার দায়িত্ব দিয়েছে হাইকোর্ট। তবে আগে থেকেই মুর্শিদাবাদে যে ১৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন আছে, তারাও নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকবেন।
অন্যদিকে, রাজভবনে তৈরি করা হয়েছে বিশেষ একটি সেল। নাম ‘অ্যাক্সেস পয়েন্ট’। ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে এই সেল। এই কর্মসূচি নিয়ে রাজ্যে যাতে কোনও রকমের অশান্তি বা উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সেই আবেদন জানিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।