Congress: বহরমপুরে বড় খেলা খেললেন অধীর
Congress: অধীর চৌধুরী বলেন, "এই জেলা সাম্প্রদায়িক রাজনীতির শিকার। ধর্মনিরপেক্ষ দল হিসেবে ক্ষতি হয়েছে কংগ্রেসের। আপাতত দৃষ্টিতে দেখলে মনে হবে কংগ্রেস দুর্বল হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, বাস্তব তা নয়।"

মুর্শিদাবাদ: এ যেন উলটপুরাণ। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যখন শাসকদলে যোগ দিচ্ছেন রাজনৈতিক দলগুলির কর্মী-সমর্থকরা। তখন তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিলেন শতাধিক কর্মী-সমর্থক। এই ছবি দেখা গেল মুর্শিদাবাদে। রবিবার বহরমপুরে প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরির হাত ধরে কংগ্রেসে যোগ দিলেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।
রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তৃণমূল ছাড়লেন জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি তাসিরুদ্দিন আহমেদ-সহ সামশেরগঞ্জের শতাধিক কর্মী-সমর্থক। সামশেরগঞ্জের জেলা তৃণমূলের নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যর স্বামীও কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। এছাড়াও ভগবানগোলার বেশ কয়েকজন আইএসএফ কর্মী-সমর্থক কংগ্রেসে যোগদান করেন।
এদিন বহরমপুরে জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে যোগদান সভার আয়োজন করা। অধীর চৌধুরী ছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী সহ কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব। কংগ্রেসে যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ অধীর চৌধুরী। কংগ্রেসে যোগদানকারী ব্যবসায়ী ফিরদৌস শেখ বলেন, “শাসকদলের দুর্নীতির কারণে তৃণমূল ছেড়েছি অনেক আগে। আজ কংগ্রেসের যোগদান করলাম।”
তৃণমূলের কর্মী, সমর্থকদের কংগ্রেসের পতাকা ধরানোর পর অধীর চৌধুরী বলেন, “এই জেলা সাম্প্রদায়িক রাজনীতির শিকার। ধর্মনিরপেক্ষ দল হিসেবে ক্ষতি হয়েছে কংগ্রেসের। আপাতত দৃষ্টিতে দেখলে মনে হবে কংগ্রেস দুর্বল হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, বাস্তব তা নয়। এই জেলার মানুষ বিভ্রান্তির শিকার হয়েছেন। এই প্রতারণার আবরণ সরে গেলে সাধারণ মানুষ আসল জিনিসটা দেখতে পাবেন। এই জেলার মানুষের তৃণমূলের প্রতি মোহ কেটে যাবে যদি আমরা মানুষকে এই নিয়ে অবহিত করতে পারি।”

বহরমপুরে কংগ্রেসে যোগদান তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের
তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যাওয়া নিয়ে ধুলিয়ান শহর তৃণমূলের সভাপতি মেহবুব আলম বলেন, “কংগ্রেসের এখন কিছু নেই। তাই, নিজেদের লোককে ফের পতাকা ধরিয়ে চক্রান্ত করার চেষ্টা করছে। ফিরদৌস তৃণমূলের পদে ছিল শুনিনি। তাছাড়া সাধারণ মানুষের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আস্থা রয়েছে। কে একজন কোথাও গেলেন, তাতে তৃণমূলের কিছু যায় আসে না।”
কিছুদিন আগে ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেছিলেন, “অধীরদা থাকতে বহরমপুর বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষ আমাকে ভোট দেবেন না। অধীরদা ভোট দিতে দেবেন না। হাতে পায়ে ধরবেন। কাঁদবেন।” ফলে ছাব্বিশের নির্বাচনে বহরমপুর আসনে দাঁড়ালে অধীর চৌধুরী জিতবেন বলে তিনি মন্তব্য করেছিলেন।

