বহরমপুর : সাগরদিঘির পর্যালোচনা বৈঠক শেষ হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে শাসকের অস্বস্তিতে বাড়িয়ে অধীর চৌধুরীর হাত ধরে তৃণমূল (Trinamool) ছেড়ে কংগ্রেসে (Congress) যোগদান হাজারের বেশি কর্মী-সমর্থকের। শনিবার দুপুরে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুরে জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি যোগদান সভার আয়োজন করা হয়। সেই যোগদান সভায় মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন ব্লক থেকে হাজারের বেশি তৃণমূল কর্মী-সমর্থক দল ছেড়ে কংগ্রেসের যোগদান করেন। পাশাপাশি ভগবানগোলা থেকে বেশ কিছু বিজেপি কর্মীও কংগ্রেসে যোগ দেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
সাগরদিঘি উপ-নির্বাচনে জয় পেয়েছে কংগ্রেস। ভরাডুবি হয়েছে শাসক তৃণমূল। তারপরেই সংখ্যালঘু ভোট কেন হাতছাড়া হল তা নিয়ে পর্যালোচনা শুরু করেছেন তৃণমূল নেতারা। তৈরি হয়েছে কমিটি। একদিন আগেই কালীঘাটে বসেছিল পর্যালোচনা বৈঠকও। সূত্রের খবর, সেখানে ধমক খেতে হয় জেলার দুই সংসদ আবু তাহের খান ও খলিলুর রহমানকে। সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই তৃণমূলে ভাঙন মুর্শিদাবাদে। যা নিয়ে শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। যোগদান পর্ব শেষে অধীর চৌধুরী বলেন, “এই যোগদান চলবে। মুর্শিদাবাদে আগামীদিনে তৃণমূল বলে কিছু থাকবে না।”
কংগ্রেসে যোগ দিয়ে সালাম মণ্ডল বলেন, “আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে এর ফল পাওয়া যাবে। তৃণমূলকে হারানো সম্ভব হবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনেই তৃণমূলকে গঙ্গায় বিসর্জন দেওয়া হবে।” পাল্টা তোপ দেগেছেন বহরমপুর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি শাওনী সিংহ রায়। তিনি বলেন, “কংগ্রেস অনেক কিছুই দাবি করে। বাস্তবে তার কোনও প্রতিফলন দেখতে পাওয়া যায় না। ওরা বলছে দেড় হাজার কর্মী যোগ দিয়েছে। কিন্তু, কারা করেছেন সেটাই পরিষ্কার নয়। আসলে এই খবর সামনে এনে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। নাটক করছে। আর সাগরদিঘির ভোট হয়েছিল অর্থের জোরে। পঞ্চায়েত ভোটে আমরা জিততে রীতিমতো আশাবাদী। আমাদের দলের কর্মীদের মনোবলও তুঙ্গে রয়েছে।”