মুর্শিদাবাদ: রুটিন তল্লাশি চলছিল। সন্দেহ হওয়ায় লরিটিকে থামতে বলেছিলেন তিনি! চালক থামেননি, বরং পাশ কাটিয়ে গতি বাড়িয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। নাছোড় তরুণ অফিসারও হাল ছাড়তে নারাজ। গাড়ি নিয়ে পিছু ধাওয়া। গাড়ি ধরেও ফেলেন। চালককে আবার থামতে বলেছিলেন তিনি! এবার অফিসারকে কার্যত পিষে মেরে ফেলতেই আরও গতি বাড়িয়ে দিয়েছিলেন চালক! বরাত জোরে রক্ষা পেলেও, লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে যায় তরুণ অফিসারের পা।
ফরাক্কায় স্পেশাল ড্রাইভ চালানোর সময় এক আরটিও আধিকারিকে খুনের চেষ্টা করার অভিযোগ উঠল এক লরি চালকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ফরাক্কা ব্যারেজের ব্রিজের কাছে। আহত ওই আরটিও অফিসারের নাম সৌমদ্রুতি সাহা। তিনি জঙ্গিপুরের অ্যাডিশন্যাল আরটিও পদে রয়েছেন।
আরটিও অফিস সূত্রে জানা যায়, ফরাক্কার ঘোলাকাধির কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর স্পেশ্যাল ড্রাইভ চালানোর সময় সৌমদ্রুতি সাহা একটি লরিকে থামতে বলেন। কিন্তু অভিযোগ, চালক না থেমে দ্রুত গতিতে লরি চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
তারপর এই লরিটিকে ধাওয়া করে ফরাক্কা ব্যারেজের সামনে ধরা হয়। অভিযোগ, এখানেই লরি চালক অ্যাডিশন্যাল আরটিও সৌমদ্রুতিকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করেন। আরটিও আধিকারিক দৌঁড়ে সরে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন চালক তাঁর পায়ের ওপর দিয়েই লরি চালিয়ে চলে যান বলে অভিযোগ।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ফরাক্কা থানার পুলিশ। তারপর তাঁকে গুরুতর অবস্থায় প্রথমে বেনিয়াগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকরা তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করেছেন।
লরিটিকে ফরাক্কা থানার পুলিশ আটক করে করলেও চালক এবং খালাসি পালাতক। আরটিও ডিপাটমেন্টের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয় ফারাক্কা থানায়। পুলিশ জানিয়েছে, চালক খালাসি পলাতক। দ্রুত তাঁদে র খুঁজে বার করা হবে। আরটিও আধিকারিকের হাত থেকে বাঁচতেই তাঁরা এই কাজ করেছে। তাঁরা আদৌ কোনও পাচারচক্রের সঙ্গে জড়িত কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আরও পড়ুন: রক্ত বয়ে এসেছিল বাইরে, শোওয়ার ঘরে স্ত্রীর গলা কাটলেন, তারপরের দৃশ্য দেখে স্থবির হয়ে গেলেন প্রতিবেশীরা