
মুর্শিদাবাদ: দিন তিনেক আগেই বাবার দেহ উদ্ধার হয়েছিল। খুন করার পর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বাইরে ফেলে রেখে গিয়েছিল দেহ। কাকতালীয়ভাবে তার পর থেকেই খোঁজ মিলছিল না ছেলে ও হবু বউমার। ছেলের পরিবারের অভিযোগ ছিল, বাবাকে যারা খুন করেছে, তারাই অপহরণ করেছে ছেলে ও হবু বউমাকে। তিন দিন পর তাঁদেরকেই উদ্ধার করল পুলিশ। রহস্যময় ঘটনা মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার সকালে হরিহরপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বাইরে থেকে মিনারুল শেখের নিথর দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, সেই দেহ রাতেই কেউ বা কারা ফেলে পালিয়ে যায়। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশের হাতে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
জানা যায়, মিনারুল শেখের ছেলের সঙ্গে গ্রামেরই একটি মেয়ের সম্পর্ক রয়েছে। তাঁরা দু’জন দু’জনকে বিয়ে করতে চান। কিন্তু তাতে বাধ সাধে মেয়ের বাড়ির লোক। এই ব্যাপারে কথা বলার জন্য মিনারুলকে বৃহস্পতিবার সকালে ডেকে পাঠান মেয়ের পরিবারের সদস্যরা। তারপরই দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের স্ত্রীর অভিযোগ করেন, মেয়ের বাড়ির সদস্যরাই এই খুন করেছেন। মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তার পর থেকে পাঁচদিন কেটে গিয়েছে। মিনারুলের ছেলে ও তাঁর প্রেমিকার কোনও খবর পাওয়া যাচ্ছিল না। বিষয়টি থানাতেও জানানো হয়। কেমন আছে, কোথায় আছে কী অবস্থায় রয়েছে, তা নিয়ে ক্রমেই ধোঁয়াশা তৈরি হচ্ছিল। অবশেষে পাঁচ দিন পর দুজনকে উদ্ধার করে পুলিশ। বুধবার বহরমপুর আদালতে তোলা হবে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই এই বিষয়ে বিশেষ কিছু বলতে চান না তদন্তকারীরা।