মুর্শিদাবাদ: স্বামীর সঙ্গে রাতে ঘরেই বসিয়েছিলেন ‘মজলিশ’। সঙ্গে ছিলেন স্বামীর বন্ধুরাও। প্রতিবেশীরাও জানতেন সেকথা। কারণ বাড়ি থেকে ভালই হইচইয়ের শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু সকাল থেকেই সেই বাড়ি ছিল নিঃস্তব্ধ। বাড়ির বাইরেও স্বামী-স্ত্রী কাউকেই বেরোতে দেখা যায়নি। আর পাঁচ দিন যেমন সকাল থেকেই বাইরে নানারকম কাজে তাঁদের দেখতে পেতেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাই সন্দেহ হয় গ্রামবাসীদের। সকালে ঘরে ঢুকতে টোকা দিতেই খুলে যায় দরজা। ভিতরে ঢুকে দেখেন মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন গৃহকর্ত্রী। এক আদিবাসী মহিলার রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত মহিলার নাম হুপই মই কিস্কু।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই হুপই তাঁর স্বামী-সহ বেশ কয়েকজন ঘরে বসেই মদ্যপান করছিলেন। তার মধ্যেই কী ঘটেছে, তা পরিবারের সদস্যরা বলতে পারছেন না। তারপর সেই বাড়ি থেকে আর কোনও শব্দ শুনতে পাওয়া যাচ্ছিল না। সকালে ঘরের মধ্যে থেকে মহিলাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁকে উদ্ধার করে সাগরদিঘি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় পুলিশের নজর মৃত মহিলার স্বামী ও তাঁর বন্ধুদের দিকে। পুলিশ মনে করছে, মদের আসরেও কোনও কিছু ঘটে থাকতে পারে। ঘটনায় সাগরদিঘি থানার পুলিশ স্বামী-সহ তিন জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।