Murshidabad Murder : দাগী অপরাধীর মতো ছক? সুতপাকে খুনের পনেরো দিন আগেই বহরমপুরে মেসভাড়া নেয় সুশান্ত

TV9 Bangla Digital | Edited By: সঞ্জয় পাইকার

May 05, 2022 | 12:51 PM

Murshidabad Murder : মালদায় বাড়ি সুশান্ত চৌধুরীর। এখন বিহারের পটনায় কম্পিউটার নিয়ে স্নাতকোত্তরে ভর্তি হয়েছিল। বহরমপুরের গোরাবাজারের অলিগলির খোঁজ সে জানল কী করে, তাই ভাবাচ্ছিল পুলিশকে। তার খোঁজ করতেই উঠে এল নতুন তথ্য।

Murshidabad Murder : দাগী অপরাধীর মতো ছক? সুতপাকে খুনের পনেরো দিন আগেই বহরমপুরে মেসভাড়া নেয় সুশান্ত
সুতপা খুনে স্পষ্ট জবাব সুশান্তের

Follow Us

বহরমপুর : বহরমপুরে কলেজ ছাত্রী খুনে (Murshidabad Murder) তদন্ত যত এগোচ্ছে, অবাক হচ্ছে পুলিশ। প্রেমে ব্যর্থ হয়ে সুশান্ত চৌধুরী যেভাবে ছক কষে সুতপা চৌধুরীকে খুন করেছে, তাতে বিস্মিত পুলিশ অফিসাররা। সুতপাকে খুন করতে দিন পনেরো আগেই বহরমপুরে চলে এসেছিল সুশান্ত। গোরাবাজারের জাহান বক্স লেনের একটি মেসবাড়িতে এসে উঠেছিল। জেরায় এই তথ্য জানার পর আজ সকালে সুশান্তকে নিয়ে ওই মেসবাড়িতে যায় পুলিশ।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, “সকাল ৬টার সময় পুলিশ ওই যুবককে নিয়ে এখানে আসে। যুবককে জিজ্ঞাসা করে কোনও মেসে সে থাকত। সে বাড়িটি দেখায়। পুলিশ বাড়ির ছবি তুলে যুবককে নিয়ে চলে যায়।” মেসের ভিতরে পুলিশ ঢোকেনি।

ওই মেসবাড়ির মালকিন সুচিত্রা জানা বলেন, “পুলিশ আসার বিষয়টি পরে জানতে পারি। পুলিশ মেসবাড়ির ভিতরে ঢোকেনি। আমাকেও কোনও কিছু জিজ্ঞাসা করার জন্য ডাকেনি।” মাত্র দিন পনেরো আগে তাঁর মেসবাড়িতে সুশান্ত এসে উঠেছিল বলে জানান সুচিত্রা। বলেন, “১৮ এপ্রিল ওই যুবক এখানে আসে। মেসভাড়া পাওয়া যাবে কি না জিজ্ঞাসা করে। আমি বলি, মেসভাড়া হবে। কোন কলেজে পড়ে জানতে চাওয়ায় সে বলে, এখানে কোচিং নিতে এসেছে। কোচিংয়ের জন্য মেসে থাকবে।”

ওই যুবকের সঙ্গে এই কয়েকদিনে কেউ দেখা করতে আসেনি বলে জানান মেসের মালকিন। এমনকী, সুশান্তের সঙ্গে বেশি জিনিসপত্রও ছিল না। একটি ব্যাগ ছিল। মেসভাড়া নেওয়ার সময় আধার কার্ডের ফোটোকপি মেসের মালকিনকে দিয়েছিল সুশান্ত। তাকে দেখে কোনও সন্দেহও হয়নি বলে জানান সুচিত্রা।

এই মেসেই থাকত সুশান্ত

গোরাবাজারেই একটি মেসে থাকত বহরমপুর গার্লস কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞানের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সুতপা। সোমবার সন্ধেয় মেসের বাইরে তাঁর উপর হামলা চালায় সুশান্ত। গতকাল তাকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছিল, সুতপার এক বান্ধবী সোর্স ছিল সুশান্তর। ওই বান্ধবীর কাছ থেকে সুতপার সব খবর পেত সে।

পুলিশের মনে প্রশ্ন উঠছিল, মালদায় বাড়ি হওয়া সত্ত্বেও বহরমপুরের এই অলিগলি সম্পর্কে কীভাবে জানল সুশান্ত। আর তারই খোঁজ করতে গিয়ে জানা গেল, দিন পনেরো আগেই গোরাবাজারে এসে উঠেছিল সে। তার এই খুনের ছকের কথা জানার পর দুঁদে অফিসাররাও অবাক হচ্ছেন। ঠিক যেন দাগী অপরাধীদের মতো ছক কষে সুতপাকে শেষ করার পরিকল্পনা করেছিল সুশান্ত।

Next Article