
জঙ্গিপুর: ভিন জেলা নয়। একেবারে ভিন রাজ্য থেকে দুষ্কৃতীরা ঢুকে পড়ছে প্রত্যন্ত এলাকায়। বাড়িভাড়া নিয়ে ফেরিওয়ালা সেজে রেইকি করছে এলাকায়। তারপর ডাকাতি করে আবার ফিরে যাচ্ছে। একটি সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনার তদন্তে নেমে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনল মুর্শিদাবাদের পুলিশ। ধরা পড়ল উত্তর প্রদেশের ‘বদায়ু’ গ্যাংয়ের ৬ দুষ্কৃতী। মুর্শিদাবাদ লাগোয়া ঝাড়খণ্ডের পাকুড় থানা এলাকায় থেকে তাদের গ্রেফতার করল সুতি থানার পুলিশ।
মাসখানেক আগে সুতি থানার মদনা এলাকায় একটি সোনার দোকানে ডাকাতি হয়। পুলিশ জানিয়েছে, পরিকল্পনা করে ওই সোনার দোকানে ডাকাতি করে পালায় দুষ্কৃতীরা। বিপুল পরিমাণ সোনার গয়না লুট করে। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে সুতি থানার পুলিশ। তথ্যপ্রযুক্তি ও গোপন সূত্রের সাহায্যে অভিযুক্তদের গতিবিধি শনাক্ত করে। তারপরই পাকুড় থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তার মধ্যে ৩ জন মহিলা। ধৃতদের নাম সুনীল, বিজয় সিং, শ্যাম সুন্দর, সোনি, প্রিয়াঙ্কা এবং রুবি। সকলের বাড়ি উত্তর প্রদেশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ডাকাতির সঙ্গে যুক্ত আরও তথ্য ও লুট হওয়া সম্পত্তি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার অমিত কুমার সাউ বলেন, “২৯ নভেম্বর দুপুর ২টা নাগাদ আমরা ওই সোনার দোকানে ডাকাতির খবর পাই। ৭-৮ জন এসেছিল বলে জানা যায়। একজন নাইট গার্ডকে বেঁধে রেখে দুষ্কৃতীরা পালায়। অভিযোগ পেয়ে এলাকায় সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। আমাদের নানা সূত্র থেকে জানতে পারি, ওই গ্যাংটি এই রাজ্যের নয়। আমরা জানতে পেরেছি, এই গ্যাং এইভাবেই সোনার দোকানে ডাকাতি করে। এদের বিরুদ্ধে আগেও ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে। উত্তর প্রদেশ পুলিশও এদের খুঁজছিল।”
কীভাবে ডাকাতি করে ‘বদায়ু’ গ্যাং?
জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার বলেন, “এই গ্যাংয়ের সদস্যরা বাড়িভাড়া নেয়। সঙ্গে মহিলা থাকায় সহজেই বাড়িভাড়া পেয়ে যায়। কেউ সন্দেহও করে না। এরপর ফেরিওয়ালা সেজে এলাকায় রেইকি করে। তারপরই ডাকাতি করে পালিয়ে যায়।”