মুর্শিদাবাদ: জমি দখল নিয়ে বিবাদ। খুনের অভিযোগ উঠেছিল মহিলাকে। আর তারই প্রতিশোধ নিতে আসরে ছেলে। পুলিশ সেজে অভিযুক্তের বাড়িতে প্রবেশ ছেলের। দু’জনকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ। লোহার রড দিয়ে মেরে ফাটিয়ে দেওয়া হল মাথা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থানার দফরপুর। ইতিমধ্যেই জখম অবস্থায় ওই দুই ব্যক্তিকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তবে পুলিশ সেজে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেলেও পরে অভিযুক্তদের চিনে ফেলে আক্রান্তরা। তারপরেই তাঁদের বিরুদ্ধে রঘুনাথগঞ্জ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ সেজে গিয়েছিলেন দুই অভিযুক্তদের নাম বাপি ও প্রসেনজিৎ। ঘটনার তদন্ত রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। আক্রান্ত ব্যক্তি বলেন, “রাত্রি সাড়ে এগারোটার সময় এসে বলছে আমরা পুলিশের লোক। দরজা খুলতেই কোপ মারছে। প্রায় আট থেকে দশ জন ছিল।”
উল্লেখ্য, প্রায় ছয় মাস আগে জমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে গণ্ডগোল বাধে। গণ্ডগোলে বোমার আঘাতে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়। গৃহবধুকে খুনের ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তরা গা ঢাকা দেয়। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা মির্জাপুরে একটি ভাড়া বাড়িতে লুকিয়ে ছিল। কিন্তু বিষয়টি জানতে পেরেই কার্যত তাদের ভাড়া বাড়িতে হানা দেয় মৃত মহিলার পরিবারের সদস্যরা। পুলিশ সেজে তাঁদের বাড়ি থেকে তুলে আনে তাঁরা। এরপরেই বেধড়ক মারধর করা হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ।