
ভগবানগোলা: একদিকে যখন নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) অভিযোগে বিদ্ধ তোলপাড় গোটা রাজ্য, যখন জোর নিত্যনতুন রায় আসছে আদালত থেকে, সে সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ভাইরাল সাদা কালি দেওয়া একটি ওএমআর শিট (OMR Sheet)। উত্তরপত্রটি ভগবানগোলা ব্লক ১ এর PWD মোড়ের বাসিন্দা রেশমা খাতুনের। বর্তমানে তিনি চাকরি করছেন ফারাক্কা ব্লকের অর্জুনপুর হাইস্কুলে। ওএমআর শিটে সাদা কালির দাগ থাকার পরেও কী করে তিনি চাকরি পেলেন, কী করেই বা নজর এড়াল পর্ষদের তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ওএমআর শিট ভাইরাল হতেই উঠে পক্ষে-বিপক্ষে উঠে এসেছে নানা মতামত। শুরু হয়েছে চাপানউতর। যদিও রেশনা খাতুনের দাবি, তিনি কোনও দুর্নীতি করে চাকরি পাননি। পরীক্ষা হলে থাকা গার্ডকে জিজ্ঞাস করেই তিনি সাদা কালির ব্যবহার করেছিলেন। কিন্তু কেন করতে হল সাদা কালির ব্যবহার। এ প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, “সাদা কালি আমি নিজেই দিয়েছিলাম। পরীক্ষার সময় তাড়াহুড়োর কারণে আমার রোল নম্বরে ভুল হয়ে যায়। তখন গার্ডকে জিজ্ঞাস করেই আমি সাদা কালি দিয়ে রোল নম্বর ঠিক করি। পরীক্ষার হলে আমার অনেক পরিচিত ছিল। তাঁরা বলতে থাকে আমার খাতা বাতিল হয়ে যেতে পারে। ভয় তো কাজ করছিলই মনে। ভয়ে ভয়ে পরীক্ষা দিই। অনেক উত্তরও ভুল হচ্ছিল। যদিও পরবর্তীকালে কম্পিউটারে আমার খাতা চেক হয়। মেধাতালিকায় আমার নাম আসে। ২০১৬ সালের প্যানেলে নাম ওঠে। ওয়েটিংও ছিলাম। পর্ষদের চেয়ারম্যানও বলেন এটা কোনও সমস্যা নয়। এসএসসি-র গাইডলাইনেও কোথা লেখা নেই ওয়াইটনার ব্যবহার করা যাবে না। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসের ১৩ তারিখ আমি কাজে জয়েন করি।”
অন্যদিকে এ নিয়ে জেলার রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে চাপানউতর। ভগবানগোলা ব্লক ১ সিপিএম এরিয়া কমিটির সম্পাদক কামাল হোসেন বলেন, “কয়েকদিন থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখছি একটি মেয়ের ওএমআর শিটে সাদা কালির দাগ দেওয়া। সাদা কালির দাগ দেওয়া উত্তরপত্র জমা দেওয়ার পরেও ওই মেয়ে চাকরি করছে ফারাক্কা ব্লকের অর্জুনপুর হাইস্কুলে। ভগবানগোলার ছোট-বড় বিভিন্ন নেতার আত্মীয়-স্বজনরা দুর্নীতি করে চাকরি করছে। দুর্নীতিভাবে চাকরি পাওয়া সকল শিক্ষকদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”