মুর্শিদাবাদ: সোমবারের পর মঙ্গলবার। চিকিৎসার গাফিলতিতে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আরও এক রোগী মৃত্যুর অভিযোগ। সর্পাঘাতের পর তড়িঘড়ি হাসপাতালে আনা হলে ভর্তি করার তিন ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যু হয় রোগীর। পরিবারের অভিযোগ, দুটি ইনঞ্জেকশন দিয়ে বিছানায় হাত পা বেঁধে ফেলে রাখা হয়। শরীর নীল হতে শুরু করতে নার্সদের বলায় ধমক দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম বিদ্যাসাগর সরকার(৩২)। তাঁর বাড়ি বহরমপুর থানার চরমহুলা।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে ঘুমন্ত অবস্থায় বিদ্যাসাগর নামে ওই ব্যক্তিকে সাপে কামড়ায়। পরিবারের দাবি, আধ ঘণ্টার মধ্যেই কর্ণসুবর্ণ হাসপাতালে আনা হয়। সেখান থেকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
পরিবারের দাবি, মঙ্গলবার সকাল আটটা নাগাদ মৃত্যু হয় বিদ্যাসাগরের। মৃতের স্ত্রী সুভদ্রা সরকার বলেন, “হাসপাতালে ভর্তি করার পরও দীর্ঘক্ষণ ফেলে রাখা হয়েছিল। তারপর একটা ইঞ্জেকশন দেয়। আর তারপর থেকেই শরীরটা নীল হতে থাকে। সাপে কাটা বহু রোগী সঠিক চিকিৎসা পেয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে এসেছে। কিন্তু চিকিৎসা হলে আমার স্বামীকেও বাঁচানো যেত।”
প্রসঙ্গত, আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ কর্মবিরতি পালন করছে। এর্মাজেন্সি ছাড়া আর কোনও পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে না। সোমবারও চার ঘণ্টা ওপিডিতে অপেক্ষা করলেও চিকিৎসকের দেখা না পাওয়া যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয় পিয়ারুল শেখ নামে এক যুবকের। তাতেও প্রশ্ন ওঠে।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)