Murshidabad TMC Murder: কান্দির তৃণমূল নেতা খুনে এখনও গ্রেফতার হয়নি কেউ, দায়ের হয়নি অভিযোগও!

Murshidabad TMC Murder: মৃতের পরিজন ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এলাকাতেই একটি রেশনের দোকান রয়েছে ওই তৃণমূল নেতার। শুক্রবার সন্ধেয় নিজের দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন নেপালবাবু।

Murshidabad TMC Murder: কান্দির তৃণমূল নেতা খুনে এখনও গ্রেফতার হয়নি কেউ, দায়ের হয়নি অভিযোগও!
কান্দিতে তৃণমূল নেতা খুনে অধরা অভিযুক্তরা (রাতের ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 11, 2021 | 9:35 AM

মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে আরও একটি বিষয় উল্লেখ্যযোগ্য, নিহতের পরিবারের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি থানায়। আইসি আপাতত এটাই জানিয়েছেন। তবে পুলিশ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তদন্ত শুরু করেছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় কান্দি থানার অন্তর্গত সন্তোষপুর এলাকার নেপাল সাহা নামে এক তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। নেপথ্যে উঠে আসে তৃণমূলেরই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা।

ঠিক কী অভিযোগ? মৃতের পরিজন ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এলাকাতেই একটি রেশনের দোকান রয়েছে ওই তৃণমূল নেতার। শুক্রবার সন্ধেয় নিজের দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন নেপালবাবু। সেইসময় আচমকা কিছু দুষ্কৃতী পেছন থেকে এসে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে বলে অভিযোগ। সেখানেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন নেপালবাবু। স্থানীয়রা চিত্‍‍কার শুনতে পেয়ে ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিত্‍সকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

ণমূল নেতার মৃত্যুর খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় কান্দি থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। এই ঘটনায় কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্তকারীদের অনুমান, এলাকা দখলের লড়াইকে কেন্দ্র করেই এই ঘটনা ঘটেছে।

কান্দিতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নতুন কোনও ঘটনা নয়। গত মাসেই তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যকে বোমা মারা ঘটনায় অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মীরই বিরুদ্ধে। বোমার আঘাতে জখম হন তৃণমূল নেতা বাবর আলি। আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। তৃণমূল কর্মীর শাহজাহানই এই কাজ করেছে বলে দাবি করেন বাবর। বাবরের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, তাঁকে সরিয়ে পঞ্চায়েত সদস্য হওয়াই শাহজাহানের মূল উদ্দেশ্য। সেই থেকে হামলা।

তৃণমূল নেতা নেপাল সাহার ভাইপোর কথায়, “আজ সন্ধ্যাবেলা আচমকা আমার কাছে পার্টির লোকেরা ফোন করে বলে, ‘তুই কোথায়, তোর কাকাকে তো মার্ডার করে ফেলল!’ আমি তখন বাড়ি থেকে বেরচ্ছি। শোনার পর আকাশ থেকে পড়লাম। আমি জানি এটা ওই বরুণ সাহাদের কীর্তি। আমরা বরাবর তৃণমূল করে এসেছি। ওরা কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে এসেছে। তাই ওরা আমাদের পছন্দ করে না। সেই থেকে ঝামেলা শুরু করেছে। আজ আমার কাকাকে খুনই করে দিল।”

স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার কথায়,”নেপালবাবু আগে আমাদের অঞ্চল সভাপতিও ছিলেন। তাঁর স্ত্রী আমাদের এখানে পঞ্চায়েতের সদস্য। দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে ওঁকে কোপ মারা হয়। তবে কে বা কারা মেরেছে এবং কেন মেরেছে তা স্পষ্ট নয়। আমরা চাই, দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি হোক। কেন কেউ নেপালবাবুকে মারবে এটাই বুঝতে পারছি না আমরা।”

আরও পড়ুন: Asansol Dacoity: ‘ক্যাশবাক্সে এত কম টাকা কেন? থাকার তো কথা অনেক বেশি’, ২ লক্ষেরও বেশি লুঠ অনলাইন বিপণন সংস্থার অফিসে