জাকিরকে ‘জেড’ ক্যাটাগরির নিরাপত্তা, সিআইডির হাতে বিস্ফোরকের নমুনা
বিস্ফোরণে তাঁর দেহের বেশ কিছু অংশের চামড়া ঝলসে গিয়েছে। সেইসব ক্ষতস্থানে কখন অস্ত্রোপচার করা হবে সে বিষয়ে এদিন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকেরা।
বুধবার রাতে মুর্শিদাবাদের নিমতিতা স্টেশন থেকে কলকাতায় আসার জন্য ট্রেন ধরার কথা ছিল জাকির হোসেনের। প্ল্যাটফর্ম ধরে হেঁটে যাওয়ার সময় একেবারে তাঁর সামনে বোমা ফেটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। বোমার আঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন মন্ত্রী-সহ প্রায় ২০ জন। তাঁদের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখান থেকে ভোরেই জাকিরকে কলকাতার এসএসকেএমে স্থানান্তরিত করা হয়।
শুক্রবার হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, ভাল আছেন জাকির হোসেন। এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন বাকিদেরও নতুন করে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়নি। নিমতিতা বিস্ফোরণকাণ্ডে এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ারে চিকিৎসাধীন ১৪ জনের মধ্যে তিনজনের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। ১২ বছরের বালক সামিউল শেখ ছাড়াও আশঙ্কাজনক মাসেম আলি (৩০) এবং নাসিবুল শেখ (২৮)।
বিস্ফোরণের জেরে তিনজনের পা এবং একজনের হাত বাদ দিতে হয়েছে। বৃহস্পতিবার মন্ত্রী-সহ চারজনের অস্ত্রোপচার হয়েছে। অস্ত্রোপচারের পরে তাঁরা কেমন আছেন তা শুক্রবার পর্যবেক্ষণ করবেন চিকিৎসকরা। আর কারও অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন রয়েছে কি না তাও দেখা হবে। হাসপাতালের সিসিইউ-১১তে চিকিৎসাধীন জাকির। বিস্ফোরণে তাঁর দেহের বেশ কিছু অংশের চামড়া ঝলসে গিয়েছে। সেইসব ক্ষতস্থানে কখন অস্ত্রোপচার করা হবে সে বিষয়ে এদিন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকেরা।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও সকাল থেকেই নিমতিতা স্টেশনে তল্লাশি চালাচ্ছে সিআইডি। রয়েছে স্থানীয় পুলিশও। ঘটনাস্থল থেকে সিআইডির তদন্তকারীরা মোটরবাইকে ব্যবহৃত ব্যাটারির অংশ এবং লোহার কনটেনারের বেশ কিছু টুকরো সংগ্রহ করেছে। এদিকে যে রেল লাইনের পাশে ঘটনাটি ঘটে, তার উপর দিয়ে বুধবার রাতে একাধিক ট্রেন গিয়েছে। ফলে ট্রেনের গতিতে বহু নমুনা নষ্টও হয়ে গিয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। এখনও অবধি কোনও তার বা ইলেকট্রিক সার্কিটের টুকরো মেলেনি।