
মুর্শিদাবাদ: মসজিদ হোক, তাতে আপত্তি নেই। কিন্তু বাবরি নামেই কেন? বাবরি নামেই আপত্তি রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেকথা তিনি আগেই স্পষ্ট করেছিলেন, যে তাঁর মসজিদ নির্মাণ নিয়ে কোনও বক্তব্য নেই, তবে নামটা নিয়ে রয়েছে। একই কথা বলেছিলেন ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের প্রধান কার্তিক মহারাজ। এবার এই নাম নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন মৌলানাদেরও একাংশ।
TV9 বাংলা এরকম একাধিক মৌলানার সঙ্গে কথা বলেছেন, এক মৌলানা জানান, হুদায়বিয়ার সন্ধির সময় অমুসলিমদের আপত্তিতে নিজের নাম থেকে ‘রসুলুল্লাহ’ শব্দ বাদ দিয়েছিলেন স্বয়ং হজরত মহম্মদ। যুক্তি ছিল যদি একটা শব্দ বাদ দিয়ে সম্প্রতি বজায় থাকে, তাহলে বাদ দিতে অসুবিধা নেই। বাবরি নাম নিয়ে যখন আপত্তি উঠেছে, তখন নামটা বাদ দিয়ে মসজিদ করলেই ভাল হত। মসজিদকে সমর্থন করলেও নাম নিয়ে আপত্তি।
তবে কেবল মসজিদ নয়, মন্দিরও সরকারি পয়সায় কেন হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মৌলানারা। তাঁদের একাংশের মতে, সরকার উচিত, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও করা।
উল্লেখ্য, এই একই লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছেন হুমায়ুনও। আপাতত ৩০০ কোটির বাজেট ধরা হয়েছে। বাবরি মসজিদের সঙ্গে হাসপাতাল, স্কুলও নির্মাণ করবেন হুমায়ুন। তবে এর একটা পয়সাও সরকারের থেকে নেওয়া হবে না। আগামী এক মাসের মধ্যে এক ব্যক্তি ৮০ কোটি টাকা অনুদান দেবেন বলেও জানালেন হুমায়ুন। তবে সেই ব্যক্তির নাম প্রকাশ্যে আনেননি তিনি।
সেখানকার মৌলানারা রাজ্যের ওয়াকফ অবস্থান নিয়েও মুখ খোলেন। এক মৌলানা বললেন, “ওয়াকফ আইন কেন্দ্রের আইন। রাজ্য মানতে বাধ্য। তা সত্বেও মুখ্যমন্ত্রী বললেন আইন কার্যকর হতে দেব না। আমরা ওনাকে সমর্থন করলাম।” পরবর্তীতে রাজ্যের অবস্থান পরিবর্তন হওয়ায় কিছুটা হলেও চোট পেয়েছেন তাঁরা। তাঁদের কথায়, “যদি মুখ্যমন্ত্রী মনে করেন বিজেপির ভয় দেখিয়ে আমাদের সমর্থন পাবেন, এটা ভুল। আমরা নিজেদের ধর্মস্থান, নিজেদের কবরস্থান নিজেরাই রক্ষা করতে পারি।”