মুর্শিদাবাদ: বেসরকারি স্কুলের ভিতর থেকে উদ্ধার অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর দেহ। মঙ্গলবার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই ছাত্রীর নাম সোহানা মণ্ডল (১৪)। তাঁর বাড়ি নওদা থানার বাদশানগর গ্রামে।
মঙ্গলবার সকালে ওই আবাসিক স্কুলের শিক্ষকরা সোহানাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আমতলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা দেন। পরে সেখানে মৃত্যু হয় সোহানার। তবে মৃতের পরিবারের অভিযোগ, সোহানা অসুস্থ হওয়া থেকে শুরু করে, তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা পর্যন্ত গোটা ঘটনা স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁদের কিছুই জানাননি। পরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মর্গে সোহানার দেহ রয়েছে বলে তারা জানতে পারেন।
মৃত সোহানার পরিবার অভিযোগ, সোমবার রাতে স্কুলের মধ্যেই মৃত্যু হয়েছিল তাঁদের বাড়ির মেয়ের। কিন্তু নিজেদের গাফিলতি ঢাকতে মঙ্গলবার সকালে স্কুল কর্তৃপক্ষ ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে। যদিও, ওই আবাসিক স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে সরকারিভাবে কেউ মুখ খুলতে রাজি হননি। এক শিক্ষক নাম না প্রকাশের শর্তে জানান নিজেরই এক সহপাঠীর সঙ্গে ঝগড়া করে মঙ্গলবার সকালে গলায় দড়ি দিয়েছিল সোহানা। ঘটনাটি দেখতে পেয়ে দ্রুত তাকে ‘সংজ্ঞাহীন’ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল ,কিন্তু তাঁকে বাঁচানো যায়নি।
যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষের এই দাবি মানতে রাজি হয়নি মৃত ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা। মনোজ খান নামে মৃত ছাত্রীর এক মেসোমশাই জানান, “সোমবার রাতেও পরিবারের লোকেদের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই কথা বলেছিল সোহানা। মঙ্গলবার সকালে আমাদের জানানো হয় মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এর কিছুক্ষণের মধ্যে স্কুলের তরফে আমাদের আবার ফোন করে জানানো হয় সোহানা মারা গিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন,” নওদা থেকে আমরা যখন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে এসে পৌঁছই আমাদের মেয়ের দেহ হাসপাতালে দেখতে পাইনি। পরে জানতে পারি তার দেহ মর্গে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। গোটা বিষয়টি আমাদেরকে অন্ধকারে রেখে করা হয়েছে।” পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে ময়নাতদন্তের উপর নির্ভর করছে গোটা বিষয়টি।