মুর্শিদাবাদ: রাজ্যের একমাত্র কংগ্রেস পরিচালিত পুরসভা কয়েকদিন আগেই হাতছাড়া হয়েছে হাত শিবিরের। পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার দখল নিয়েছে তৃণমূল। এবার স্থায়ী সমিতি গঠনের আগে মুর্শিদাবাদের রানিনগরের নাটকীয় মোড়। কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হয়ে আসা দুই তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য ও প্রধান দল ছেড়ে যোগ দিলেন তৃণমূলে। কংগ্রেসে যথাযোগ্য গুরুত্ব পাচ্ছিলেন না। সেই কারণেই দলবদল বলে জানিয়েছেন তাঁরা। কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যাওয়া যোগদানকারীরা হলেন, হানিফ শেখ, উর্মিলা খাতুন ও মাফুজা বিবি।
উল্লেখ্য, দলবদলের খানিক আগেই কংগ্রেস দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী অভিযোগ করেছিলেন তাঁদের পঞ্চায়েত সদস্যদের ভয় দেখাচ্ছে তৃণমূল।পুলিশি কেস দেওয়া হচ্ছে। অধীরের এই অভিযোগের কয়েক মিনিট পরই কংগ্রেস ছাড়েন এই তিনজন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে রানিনগর ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি বাম কংগ্রেস জোটের দখলে ছিল। মোট ২৭ আসন বিশিষ্ট পঞ্চায়েত সমিতির ১৪টি কংগ্রেসের ও ১৩টি তৃণমূলের দখলে ছিল। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সহ সভাপতি গঠন করে বাম কংগ্রেস জোট। তবে, স্থায়ী সমিতি গঠনের আগে শুক্রবার অধীর চৌধুরীর সভা শেষে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। থানা ভাঙচুর ও তৃণমূল কার্যালয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত মোট ৩৮ জনকে গ্রেফতার করে রানিনগর থানার পুলিশ। তবে আজ এই যোগদানের জেরে অনেকটাই সুবিধা পেল তৃণমূল কংগ্রেস।
পঞ্চায়েত সদস্য উর্মিলা খাতুন বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করছি। আর আমাদেরই গুরুত্ব দেবে না? আমরা অধীরবাবুর সঙ্গে কথা বলেই দলবদল করেছি।” তৃণমূল শাওনী সিংহ রায় বলেন, “জোটের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য এবং প্রধানরা যথারীতি বুঝতে পেরেছেন এই জোটের পক্ষ থেকে কোনও ভাবেই মানুষের উন্নয়ন সম্ভব নয়।”