
মুর্শিদাবাদ: ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে পরিস্থিতি। ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে রাজ্যের জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ-প্রতিবাদ চলছে। সবথেকে খারাপ পরিস্থিতি মুর্শিদাবাদে। ধুলিয়ান-সুতি, জঙ্গিপুর সহ একাধিক জায়গা জ্বলছে অশান্তির আগুনে। কলকাতা হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানোর নির্দেশও দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মুর্শিদাবাদে এলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার।
শুক্রবার থেকেই অশান্তির আগুন ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদে। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয়েছে বিএসএফ। রুট মার্চ চলছে অশান্ত এলাকাগুলিতে। ভয়ে-আতঙ্কে সিঁটিয়ে রয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। আর্জি জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি শাসনের। এবার অশান্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মুর্শিদাবাদে এসে পৌঁছালেন রাজীব কুমার।
সকালেই ডিজি রাজীব কুমার বলেছিলেন, “সরকারের দিক থেকে স্পষ্ট বলা আছে কোনওরকম গুন্ডাগিরি বরদাস্ত করা যাবে না। আমরা শক্ত হাতে গোটা পরিস্থিতির মোকাবিলা করছি। কোনও গুজবে কান দেওয়া যাবে না। অশান্তি করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমাদের এখন প্রথম কাজ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা।”
মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেছেন এডিজি আইন-শৃঙ্খলা জাভেদ শামিম। তিনি জানিয়েছেন, পুলিশ গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছে। তিনি বলেন, “সুতিতে সুজার মোড়, সামশেরগঞ্জে ডাক বাংলো মোড়ের অশান্তি ভয়ানক চেহারা নেয়। রাস্তা অবরোধ হয়, পুলিশ হস্তক্ষেপ করে। তারপরই পুলিশের উপর আক্রমণ করে। পুলিশ অনেকক্ষণ থেকে সংযত ছিল। মিনিমাম থেকে ম্যাক্সিমাম ফোর্স প্রয়োগ করা হয়। লাঠি, গ্যাস সবরকম চালানো হয়। কিন্তু, জনতা আরও হিংসাত্মক হয়ে ওঠে।”
পুলিশ সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদে অশান্তিতে এখনও পর্যন্ত ১১৮ জন গ্রেফতার হয়েছে। আহত হয়েছেন ১৫ জন। মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।হাইকোর্ট মুর্শিদাবাদে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছে। বিচারপতি সৌমেন সেন বলেছেন, শান্তিরক্ষায় পুলিশের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।