Humayun Kabir: ৭ ঘণ্টা পর থানা থেকে হুমায়ুনের ছেলেকে ছাড়ল পুলিশ, পিতা-পুত্রের বিরুদ্ধে FIR দায়ের
Murshidabad: হুমায়ুনের পুত্র রবীন এখনও তৃণমূল পরিচালিত বেলডাঙার দুই নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ। বাবার দলে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেননি। রবীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে হুমায়ুন বলেন, "দীর্ঘদিন সিপিএমের মোকাবিলা করে এসেছি। আজকে আবার শাসকদলের বিরুদ্ধে গিয়েছি। এসব ছোটখাটো ঘটনা হবে। ৪৩ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এসবে আমি অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি।"

মুর্শিদাবাদ: তাঁকে দল থেকে সাসপেন্ড করেছে তৃণমূল। কয়েকদিন আগে ‘জনতা উন্নয়ন পার্টি’ নামে নতুন দল গঠন করেছেন তিনি। সেই হুমায়ুন কবীরের ছেলে গোলাম নবি আজাদ ওরফে রবীন আজও তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। আর এই রবীনকে ঘিরেই রবিবার রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল চলল দিনভর। হুমায়ুনের নিরাপত্তারক্ষী পুলিশকর্মীকে মারধরের অভিযোগে রবীনকে থানায় নিয়ে যায় শক্তিনগর থানার পুলিশ। প্রায় ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর ছাড়া পেলেন হুমায়ুন পুত্র। তবে পুলিশকর্মীকে মারধরের ঘটনায় হুমায়ুন ও তাঁর পুত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করল পুলিশ।
হুমায়ুনের নিরাপত্তারক্ষী পুলিশ কনস্টেবলকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে রবীনের বিরুদ্ধে। এদিন পুলিশ তাঁর বাড়ি ঘিরে ফেলে বলে অভিযোগ করেন হুমায়ুন। বাড়ি থেকে শক্তিনগর থানায় নিয়ে যাওয়া হয় হুমায়ুনের ছেলেকে। প্রায় ৭ ঘণ্টা পর রবীনকে ছাড়া হলেও পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে হুমায়ুন ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় FIR দায়ের হয়েছে। বাবা ও ছেলেকে নোটিস দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের জন্য হুমায়ুনের বাড়ি গিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু, কিছু টেকনিক্যাল সমস্যার জন্য ফুটেজ সংগ্রহ করা যায়নি। তাই, আগামিকাল পুরো ডিভিআর ও স্টোরেজ সাইবার ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হবে।
হুমায়ুনের পুত্র রবীন এখনও তৃণমূল পরিচালিত বেলডাঙার দুই নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ। বাবার দলে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেননি। রবীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে হুমায়ুন বলেন, “দীর্ঘদিন সিপিএমের মোকাবিলা করে এসেছি। আজকে আবার শাসকদলের বিরুদ্ধে গিয়েছি। এসব ছোটখাটো ঘটনা হবে। ৪৩ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এসবে আমি অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি।”
এই নিয়ে সিপিএম, বিজেপি নিশানা করেছে তৃণমূলকে। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “গোটা রাজ্যে পিসি-ভাইপোর বিরুদ্ধে যে কথা বলবে, তার বিরুদ্ধে পুলিশ লেলিয়ে দেবে। এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক।” সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, “এটা বিজেপি-তৃণমূলের রাজনীতি। যদি ওদের কথায় সায় দাও, তাহলে কেন্দ্র ও রাজ্যের পুলিশ পাহারা দেবে। আর বিরোধিতা করলে মামলায় জড়াবে।”
বিরোধীদের জবাব দিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “উনি (হুমায়ুন কবীর) নিজে স্বীকার করেছেন, পুলিশকর্মী মারেননি। ছেলে পুলিশকর্মীকে মেরেছেন আর উনি ঘাড় ধাক্কা দিয়েছেন। অন ডিউটি পুলিশকর্মীকে মারলে পুলিশ কি রসগোল্লা খাওয়াবে?”
